ঢাকাবুধবার , ৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উদ্যোক্তা
  6. কর্পোরেট
  7. কৃষি ও প্রকৃতি
  8. ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. পর্যটন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অ্যাভোকাডো চাষে টিটোর সাফল্য

Md Abu Bakar Siddique
জুলাই ৯, ২০২৫ ১:৪২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নড়াইলের আশরাফুজ্জামান টিটো শখের বশে শুরু করেছিলেন অ্যাভোকাডো চাষ। এখন তা পরিণত হয়েছে লাভজনক বাণিজ্যিক বাগানে। সদর উপজেলার মাগুরা গ্রামে নিজের বাড়ির পাশে ৪০ শতক জমিতে গড়ে তুলেছেন তিনি অ্যাভোকাডোর সবুজ বাগান।বাড়ির সামনে মাঝারি আকৃতির একটি গাছে ঝুলছে সবুজ ফল। পাশেই আছে আরও দুটি গাছ। একটু দূরে গেলে চোখে পড়ে সারি সারি অ্যাভোকাডো গাছ। প্রতিটি ডালে ঝুলছে নাশপাতি বা পেয়ারা আকৃতির বিদেশি ফল। একেকটি ফলের ওজন প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম। ভেতরে ডিম আকৃতির বীজ। খেতে নরম ও মাখনজাতীয়। সরাসরি খাওয়া ছাড়াও এ ফল দিয়ে ভর্তা, সালাদ, জুস বা শরবত তৈরি করা যায়।

আশরাফুজ্জামান টিটো বলেন, ‘আমি সেনাবাহিনীতে চাকরি করার সময় আফ্রিকায় মিশনে যাই। সেখানেই অ্যাভোকাডোর সঙ্গে প্রথম পরিচয়। দেশে ফল আনা নিষেধ থাকায় আমি কার্বন পেপারে মুড়িয়ে পাঁচটি বীজ এনেছিলাম। ২০১৪ সালে তা বাড়িতে রোপণ করি। এরপর দুটি গাছে ফল আসে। তার পর থেকে প্রতি বছর ফল বিক্রি করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার সুপার শপে ফল সরবরাহ করি। প্রতি বছর ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার ফল বিক্রি হয়। চারা তৈরিও করেছি। পাইকারি দরে প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করি। তবে ঢাকায় খুচরা বাজারে এক কেজির দাম ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।’

বাণিজ্যিকভাবে চাষে আরও আগ্রহী হয়ে ৪০ শতক জমিতে ৪০টি গাছ রোপণ করেছেন তিনি। এ বছর গাছগুলোতে ফুল এসেছে। টিটোর আশা, আগামী বছর এসব গাছে ফল ধরবে। সেগুলোও বাজারজাত করতে পারবেন।

চাষপদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রথমে চারা সংগ্রহ করতে হয়। দেড় ফুট বাই দেড় ফুট গর্ত করে ৭ দিন রেখে দিতে হয়। এরপর জৈব সার, হাঁড়ের গুঁড়া, গোবর মিশিয়ে গর্তে ভরতে হয়। চারা রোপণের আগে ছত্রাকনাশক ব্যবহার করা দরকার। ৩ থেকে ৪ বছর পর গাছে ফল আসে।’ বর্তমানে তার বাগানে রয়েছে ২৯টি ফলদ গাছ। প্রতিটি গাছ সবুজ পাতার সৌন্দর্যে ভরা। গাছের ডালে ডালে ঝুলছে অ্যাভোকাডো।
বাগান দেখতে প্রতিদিন ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা। কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা চারা কিনছেন। বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ কাজ করে আমার সংসার চলে। মালিক আমাকে বেতন দেন। গাছগুলোকে সন্তান মনে করে পরিচর্যা করি।’ বাগান দেখতে আসা রিপন মণ্ডল বলেন, ‘এমন বাগান দেখে ভালো লেগেছে। আমিও একটি বাগান করতে চাই। কয়েকটি চারার অর্ডার করেছি।’

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন, ‘সুপারফুড হিসেবে পরিচিত অ্যাভোকাডো এখন দেশে চাষ হচ্ছে। আশরাফুজ্জামান টিটো একজন সফল উদ্যোক্তা। তার কয়েকটি গাছে ইতোমধ্যে ফল এসেছে। অন্যগুলোতেও সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতা করব। আশা করছি, নড়াইলে এ ফলের চাষ দ্রুত সম্প্রসারিত হবে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ফলের বাজার চাহিদা বাড়ছে। তাই অ্যাভোকাডো চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। শখের বাগান এখন হয়ে উঠছে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।