ঢাকাশনিবার , ২১শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উদ্যোক্তা
  6. কর্পোরেট
  7. কৃষি ও প্রকৃতি
  8. ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. পর্যটন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইউএনওর কাছে অভিযোগের জেরে সহকর্মীকে বেধড়ক মারধর

অনলাইন ডেস্ক
মে ১৫, ২০২৫ ১২:৫৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

যশোরের মনিরামপুরে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তার সহকর্মী। মঙ্গলবার (১৩ মে) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না আকস্মিক ওই বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে তার কাছে অভিযোগ করেন ওই সহকর্মী। এরপর ইউএনও বিদ্যালয় ত্যাগ করার পর ওই শিক্ষককে মারপিট করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।
সহকর্মীকে মারপিট করা ওই শিক্ষকের নাম মজনুর রহমান। তিনি উপজেলার দূর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মনিরামপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। আর মারপিটের শিকার শিক্ষক রবিউল ইসলাম একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক রবিউল ইসলাম বুধবার (১৪ মে) রাতে মনিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে তিনি জেলা প্রশাসক ও ইউএনও বরাবর মজনুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।
মারধরের শিকার শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে নিয়ম মেনে স্কুলে আসেন না মজনুর রহমান। তিনি বিদ্যালয়ে এলেও ক্লাস না নিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে দু-এক ঘণ্টা অফিসে বসে চলে যান।
তিনি বলেন, ইউএনও আমাদের স্কুলে এসে সবকিছু এলোমেলো পান। তখন স্কুলে ছিলেন না মজনুর রহমান। আমি ইউএনওকে মজনুর বিষয়ে সবকিছু জানাই। ইউএনও বিদ্যালয়ে থাকতেই খবর পেয়ে মজনুর রহমান স্কুলে আসেন। পরে ইউএনও চলে যাওয়ার পর মজনু বাঁশের লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন। আমি হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করেছি। সেখানে লিখিত অভিযোগ দিয়ে ইউএনওর কাছেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এরপর রাত ১০টার দিকে থানায় মজনুর বিরুদ্ধে এজাহার জমা দিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে মজনুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার আমার তিনটা ক্লাস ছিল। সব ক্লাস নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে বাইরে গিয়েছিলাম। ইউএনও বিদ্যালয়ে আসার খবর শুনে ফিরে এসেছি।
সহকর্মীকে মারপিটের অভিযোগের বিষয়ে মজনুর রহমান বলেন, মাথা ঠিক ছিল না। একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে।
দূর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার বলেন, মজনুর রহমান নিয়মিত স্কুলে আসেন। পরে ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনি আর কিছু বলেননি।
ইউএনও নিশাত তামান্না বলেন, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দূর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষক মজনুর রহমানকে প্রথমে পাওয়া যায়নি। তিনি পরে এসেছেন। আমি চলে আসার পর মজনু বিদ্যালয়ের অপর শিক্ষক রবিউলকে মারধর করেছেন বলে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগের সঙ্গে হাসপাতালের ব্যবস্থা পত্রের কপি জুড়ে দিয়েছেন। ঘটনা তদন্ত করে দেখব।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, মজনুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত এজাহার পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।