নিজস্ব প্রতিবেদক
রমজানে কালোবাজারিরা যেন নিত্যপণ্যের সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বরিশালের আগৈলঝাড়া, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া ও পঞ্চগরের তেঁতুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৫০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, রমজান মাসে আমাদের ব্যবসায়ীরা জিনিসের দাম বাড়াতে চেষ্টা করে। এটা অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ। রমজান হচ্ছে কৃচ্ছ্র সাধনের সময়। মানুষ যেন তার ধর্মীয় কাজ ভালোভাবে করতে পারে সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত।
খতিবদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মসজিদে জুমার খুদবার সময় আপনারা কালোবাজারি, মজুদদারি বা খাদ্যে ভেজাল পৃষ্ঠা ২ কলাম ৭
কালোবাজারিদের বিষয়ে
প্রথম পৃষ্ঠার পর
দেওয়া যে ঘৃণিত কাজ, এ ব্যাপারে মানুষকে আপনাদের আরও বলা উচিত।
তিনি বলেন, যারা নিম্ন আয়ের তাদের জন্য বিশেষ কার্ড আমরা করে দিয়েছি। বেশি দামে চাল কিনে মাত্র ৩০ টাকা কেজি দরে আমরা দিচ্ছি। রমজানকে সামনে রেখে আমরা আরও ১ কোটি মানুষের মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল সরবরাহ করব। সাধারণ মানুষ যেন কষ্ট না পায় তার জন্য চাল, তেল, চিনি, ডাল, যা যা দরকার সেগুলো যাতে ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারে টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্য মূলের কার্ড দিয়ে আমরা এই সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ও ধর্ম বিষয়ক সচিব কাজী এনামুল হাসান এনডিসি।
আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী:
দেশে মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে আরও ৫০টি মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এগুলো উদ্বোধন করেন তিনি।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বরিশালের আগৈলঝাড়া, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এসব মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক সচিব কাজী এনামুল হাসান (এনডিসি)।
এর আগে দুই ধাপে ১০০টি মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে। বর্তমান সরকার সারা দেশে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার নির্মাণের প্রকল্প নিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, মডেল মসজিদগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ অজু ও নামাজের জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে। এছাড়াও থাকবে হজ গমনেচ্ছুকদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, দাফনের আগের আনুষ্ঠানিকতা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হিফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ইসলামী সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এবং ইসলামী দাওয়াত, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র এবং মসজিদের সঙ্গে দেশি ও বিদেশি অতিথিদের বোর্ডিং সুবিধা।