গলার চারপাশে কালচে দাগ কেন পড়ে?
গ্রিনলাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান বলেন, গলার ত্বক কালো হয়ে যাওয়ার অনেক কারণ আছে। সানস্ক্রিন ছাড়া বাইরে বেরোলে গলার ত্বক সূর্যের সংস্পর্শে এসে ধীরে ধীরে পুড়ে কালো হয়ে যায়। হরমোনের কারণেও মোটা ও কালো হয়ে যেতে পারে গলার চামড়া। বংশগত কারণে, ডায়াবেটিস থাকলে অথবা ওজন বেড়ে গিয়ে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের কারণে গলায় দেখা দেয় কালচে ছোপ। মেডিকেলের ভাষায় একে বলে অ্যাকান্থসিস নিগ্রিকান্স। গলা বা ঘাড়ের অংশে ভাঁজ থাকায় ঘাম ও ঘর্ষণও হয় বেশি। আবার অনেক সময় অসতর্কতা বা সময়ের অভাবে গলার অংশের পরিচর্যা বাদ পড়ে যায়, ফলে সেখানে জমে ময়লা ও মৃত কোষ, যা থেকেও পড়তে পারে কালচে দাগ।
চোখের নিচের কালো দাগ দূর করবেন কী করে

ঘরোয়া টোটকা
ঘরোয়া উপায়েও কিছু প্যাক তৈরি করে গলা ও ঘাড়ের কালো দাগ দূর করা যায়, বললেন শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী ও কসমোলজিস্ট শোভন সাহা। এক চামচ টক দই, এক চামচ মধু, ডালের বেসন একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করে কালো দাগের ওপর লাগিয়ে কমপক্ষে ৩০ মিনিট রাখতে হবে। প্যাক শুকিয়ে এলে ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুছে নিতে হবে, তবে এর ওপরে আর সাবান মাখা যাবে না। তিনি বলেন, শিশু-নারী-পুরুষনির্বিশেষে এই প্যাক লাগাতে পারবেন, তবে ৫ বছরের চেয়ে কম বয়সী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কিছু ব্যবহার না করাই ভালো। এই প্যাকে সূর্যের পোড়া ভাব উঠতে খানিকটা সময় লাগলেও এটি বেশ ভালো কাজ করে।
চাইলে বাইরে থেকে প্যাক কিনেও ব্যবহার করা যায়। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে প্যাকে যেন কোনোভাবেই ব্লিচজাতীয় উপাদান না থাকে। ব্লিচে সাময়িকভাবে ত্বককে উজ্জ্বল দেখালেও এটি দীর্ঘ মেয়াদে ত্বকের ক্ষতি করে। পরে গলার এই কালো দাগ আর কোনোভাবেই দূর করা যায় না।