ঈদুল আজহা উপলক্ষে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় অসংখ্য খামারি গবাদি পশু মোটাতাজা করছেন। গত বছর লাম্পি স্কিন ডিজিজে (এলএসডি) আক্রান্ত হয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক গরু ও বাছুরের মৃত্যু হয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে এ রোগের প্রকোপ কিছুটা কম হলেও বর্তমানে পুনরায় বাড়তে শুরু করেছে। কোরবানিযোগ্য পশুর শরীরে এ রোগ ছড়িয়ে পড়লে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন খামারিরা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সাধারণত এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ। অস্বাভাবিক গরম ও মশা-মাছির বংশবিস্তারের ফলে রোগটি ছড়িয়ে পড়ছে। এ রোগে আক্রান্ত গরুর শরীরে প্রথমে জ্বর ওঠে। এরপর শরীরের কয়েক জায়গায় ছোট ছোট গুটি উঠতে শুরু করে, যা একপর্যায়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় গরুর মুখ দিয়ে লালা পড়া শুরু হয় এবং গরু খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। ফলে গরু দুর্বল হয়ে পড়ে। আক্রান্ত গরুর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চামড়া পিণ্ড আকৃতি ধারণ করে লোম উঠে যায় ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। কিডনির ওপর এ রোগের প্রভাব পড়ায় গবাদি পশু মারাও যায়।
সাতকানিয়া উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকতা ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘উপজেলার বেশির ভাগ ইউনিয়নে গবাদি পশুর মধ্যে এলএসডি ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আমাদের কাছে এ রোগের কোনো ভ্যাকসিন নেই।’