জামদানির প্রতি ভালোবাসা থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার পথ বেছে নিয়েছেন ফারহানা মুনমুন। একসময় ছিলেন শিক্ষক, দীর্ঘ ১২ বছর শিক্ষাক্ষেত্রে কাজ করার পর ২০১৮ সালে নিজের উদ্যোগ ‘বেনে বৌ’ শুরু করেন তিনি। ছোট পরিসরে যাত্রা শুরু হলেও আজ এটি জামদানিকে ঘিরে উদ্ভাবনী কাজের একটি চেনা নাম।
করোনা মহামারির সময় জামদানি তাঁতিরা যখন বিক্রির সংকটে পড়েছিলেন, তখন ফারহানা ফেসবুকে জামদানি শাড়ির ছবি পোস্ট করে বিক্রি শুরু করেন। সেই সময়ের সফলতা তাঁকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। সেই থেকেই তিনি জামদানির রিসাইক্লিং ও পণ্যে বৈচিত্র্য আনার চিন্তা শুরু করেন।
‘বেনে বৌ’ এখন শুধু শাড়ি নয়, জামদানির ঝুট কাপড় বা অব্যবহৃত অংশ ব্যবহার করে তৈরি করছে ব্যাগ, জুতা, গয়না, প্যাচওয়ার্কের জ্যাকেট, স্টোল, পাউচ, ল্যাম্প শেড, কটি, কুর্তা, ফতুয়া, শাল ইত্যাদি। জামদানির কাপড়ের একটুকরোও যেন নষ্ট না হয়, সেই লক্ষ্যেই চলছে এই উদ্ভাবনী কাজ।
ফারহানা বলেন, “তাঁতিরা অনেক কষ্ট করে শাড়ি তৈরি করেন। আমি চাই তাঁদের তৈরি প্রতিটি সুতো কাজে লাগুক। জামদানির প্রতিটি অংশ যেন নতুন রূপে জীবন্ত হয়, সেটাই আমার চেষ্টা।”
তাঁর তৈরি পণ্য শুধু দেশে নয়, বিদেশেও প্রশংসিত হচ্ছে। তিনি চান—জামদানির জন্য নতুন বাজার তৈরি হোক, তৈরি হোক একটি জামদানি ইনোভেশন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মিলন ঘটবে।