ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উদ্যোক্তা
  6. কর্পোরেট
  7. কৃষি ও প্রকৃতি
  8. ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. পর্যটন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঢলনপদ্ধতিতে আম বিক্রিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাগান মালিকরা

Md Abu Bakar Siddique
জুন ২৪, ২০২৫ ১০:১৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মেহেরপুরে আমের খ্যাতি দেশজুড়ে। হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি, বোম্বাই, আঁটি আমসহ নানা জাতের আম উৎপাদনে এ জেলা সমৃদ্ধ। তবে আম বিক্রিতে ‘ঢলন’ নামের এক প্রচলিত পদ্ধতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এখানকার বাগানমালিকরা। ঢলনপদ্ধতিতে প্রতি মণে ৮ কেজি পর্যন্ত অতিরিক্ত আম দিতে হয় ব্যবসায়ীদের। এতে লাভের বদলে লোকসান গুনছেন উৎপাদকরা।মুজিবনগরের রফিকুল ইসলাম জানান, আগে তার চার বিঘা জমিতে আমের বাগান ছিল। এখন সব গাছ কেটে জমিতে অন্য ফসল চাষ করছেন। তার ভাষায়, ‘বাগানে আম চাষ করে যে লাভ হয়, জমি চাষ করে তার চেয়ে বেশি আয় করা যায়।’

অন্য বাগানমালিক ফজলুল হক বলেন, ‘গাছ বিক্রি করলে দাম কম, আর ঢলন দিয়ে আম বিক্রি করলে প্রতি মণে ৮ থেকে ১০ কেজি অতিরিক্ত আম দিতে হয়, যার কোনো দাম পাই না। তার ওপর আছে ঝড়বৃষ্টি, নানা প্রাকৃতিক ক্ষতি। তাই জমিতে ফসল চাষই লাভজনক।’

বাগানমালিক শামীম হোসেন জানান, তার ৪৫টি গাছে ২২০ মণ আম ধরলেও দাম পেয়েছেন মাত্র ১৮০ মণের। এভাবেই জেলার অনেক বাগানমালিক লাভের পরিবর্তে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অথচ এখানকার হিমসাগর আম ইতোমধ্যেই পেয়েছে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি।

ঢলনপদ্ধতি সম্পর্কে তারা বলেন, ব্যবসায়ীরা প্রতি মণ ৪০ কেজি হিসাব করলেও নিতে হয় ৪৮ কেজি পর্যন্ত। অতিরিক্ত ৮ কেজি ঢলন হিসেবে চলে যায়, যার জন্য কোনো টাকা পান না মালিকরা।অন্যদিকে ঢলনপদ্ধতিতে ব্যবসায়ীরাই বেশি লাভবান হন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা মেহেরপুরে এসে আম কিনে নিয়ে যান। রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় তা বিক্রি করে বড় অঙ্কের মুনাফা করেন। ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম বলেন, ‘কাঁচা আমের ওজন কমে যায়। ঢলন না নিলে ক্ষতিতে পড়ব। তবে কেউ কেউ প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঢলন নেয় না, সেটাও সত্য।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল আলম বলেন, ‘মেহেরপুরে ২ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়। ঢলনপদ্ধতিতে অতিরিক্ত আম দিতে গিয়ে আর্থিক ক্ষতিতে পড়ছেন বাগানমালিকরা। এ প্রথা এখনই বন্ধ করা উচিত।’ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢলনের বদলে কমিশনের মাধ্যমে বেচাকেনার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

চলতি মৌসুমে মেহেরপুরে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৩ হাজার ১৮৮ টন। তবে ঢলনপ্রথা বন্ধ না হলে এ সম্ভাবনাময় খাতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন অনেক চাষি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।