নেত্রকোনার প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষা স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে কিশোর কিশোরীদের সহায়ক হয়েছে ‘তারুণ্যের কন্ঠস্বর’ নামে একটি কিশোর সংগঠন। তারা কিশোর বয়সের ছেলে মেয়েদের না বলা কথা তুলে ধরে সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
৩০ জনের একটি টিম হয়ে জেলার সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ও কালিয়ারা গাবরাগাতি ইউনিয়নের বেশকটি গ্রামে কাজ করছে। এতে সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা জানাচ্ছে সাধুবাদ।
জেলার গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন ইউনিয়নের কিশোর কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাসহ নানা সেবা নিশ্চিত করতে দল বেঁধে কাজ করছে একদল কিশোর-কিশোরী।
গত মার্চ মাস থেকে তারা কার্যক্রম শুরু করেছে। কিশোর কিশোরীরা না বলা কথাগুলো তাদের সমবয়সীদের সঙ্গে শেয়ার করে পাচ্ছে সমাধান। ফলে বিপথে যাওযার প্রবণতা কমছে গ্রামাঞ্চলে। শিশু কিশোরদের অধিকার আদায়ের একটি প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে। দলের এক তৃতীয়াংশ মেয়ে ও একভাগ ছেলের সমন্বয়ে গঠিত এই তারুণ্যের কণ্ঠস্বরকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জনপ্রতিনিধিসহ সেবাদানকারী কর্মকর্তারাও।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) সিংহের বাংলা ইউনিয়ন পরিষদ গণশুনানি কক্ষে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সংগঠনটি। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ইউনিয়নটির প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম আক্কাস বলেন, ‘এই ছেলে-মেয়েরা একটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ করেছে। আমি তাদের এমন কার্যক্রম দেখে খুবই খুশি হয়েছি। সেই সঙ্গে তাদের সহযোগিতায় সব সময় পাশে থাকব।’
তারুণ্যের কণ্ঠস্বরের সমন্বয়ক অনাবিলা সরকার জানায়, জেলার তারা ২০ জন কিশোরী ও ১০ জন কিশোর মিলে তারুণ্যের কণ্ঠস্বর নামে সংগঠনটি গত মার্চ মাস থেকে সদর উপজেলার দুটি ইউনিয়নে কার্যক্রম শুরু করেছে। অনেকে ঘরে বা বাইরে কোথাও নিজেদের সমস্যার কথা বলতে পারে না। সেটির জন্য নানা সমস্যায়ও পড়তে হয়। কিন্তু তারা তাদের কণ্ঠ হয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সদর উপজেলার সহকারী পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা কহিনুর আক্তার জানান, এটি এমন একটি সংগঠন হয়েছে, যেটির সাহায্যে সমাজে ছেলে-মেয়েরা বিপথে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে। তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি যা সাধারণ কারো সঙ্গে বলতে পারতো না, তা নিমিষেই সমাধান করতে পারবে। এমন একটি প্লাটফর্ম তৈরি হয়ে এ আলোচনায় নিজেও থাকতে পেরে তিনি আনন্দিত হয়েছেন।