ঢাকাশনিবার , ২১শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উদ্যোক্তা
  6. কর্পোরেট
  7. কৃষি ও প্রকৃতি
  8. ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. পর্যটন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হলেন অভিশংসিত সেই প্রধানমন্ত্রী

Md Abu Bakar Siddique
মার্চ ২৪, ২০২৫ ১:৩৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সুকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্বহাল করেছেন দেশটির আদালত। এর মাধ্যমে অভিশংসিত হওয়ার তিনমাস পর আবারও সেই পদে ফিরলেন তিনি।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল সংসদে আইনপ্রণেতাদের ভোটে অভিশংসিত হন। এতে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু। তবে দুই সপ্তাহ পর তিনিও অভিশংসিত হন।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত সোমবার প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু’র ক্ষমতা পুনর্বহাল করেছেন। প্রায় তিন মাস আগে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিশংসনের পর পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির সাম্প্রতিক অস্থির রাজনীতিতে সর্বশেষ বড় ঘটনা এটি।

এদিকে আদালতের আদেশের পর হান ডাক-সু প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের কাছ থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। স্বল্পস্থায়ী সামরিক আইন ঘোষণার কারণে গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি নিজেই অভিশংসিত হয়েছিলেন। মূলত আদালতের রায়ের পর সোমবার হান অবিলম্বে তার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের পদে ফিরে আসেন।

রায়ের পর হান বলেন, “সাংবিধানিক আদালতের বিজ্ঞ সিদ্ধান্তের জন্য আমি কৃতজ্ঞ।”

এ সময় তিনি মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানান।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত মন্তব্যে হান বলেন, “আমরা বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া প্রস্তুত ও বাস্তবায়নের জন্য একসাথে কাজ করব এবং ভূ-রাজনৈতিক রূপান্তরের যুগে দক্ষিণ কোরিয়া যাতে ভালোভাবে বিকশিত হতে থাকে তা নিশ্চিত করব।”

মূলত ২০২২ সালের মে মাস থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন হান ডাক-সু। আর প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের অভিশংসনের পর গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তবে এর দুই সপ্তাহের মাথায় তিনি নিজেও অভিশংসিত হন এবং সেই পদক্ষেপ পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির চলমান সংবিধানিক সংকট আরও বাড়িয়ে তুলেছিল।

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করার ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদে প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসিত করার পর প্রধানমন্ত্রী হান ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। মূলত দেশটিতে সেসময় যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছিল তা থেকে দেশকে মুক্ত করতে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল হানের।

কিন্তু বিরোধী এমপিরা অভিযোগ করেছিলেন, তিনি ইউনের অভিশংসন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার দাবি প্রত্যাখ্যান করছেন। এরপর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে দেশটির পার্লামেন্টে বিশৃঙ্খলার মধ্যেই তাকে অভিশংসনের জন্য ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। সেই ভোটাভুটিতে মোট ১৯২ জন আইনপ্রণেতা তার অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। যদিও অভিশংসনের পদক্ষেপ সফল করার জন্য ১৫১টির বেশি ভোটের প্রয়োজন ছিল।

জানা গেছে, ইউনের সামরিক আইন ঘোষণা এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মিত্র দক্ষিণ কোরিয়াকে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকটে ফেলে দেয় এবং বিভিন্ন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিশংসন, পদত্যাগ এবং ফৌজদারি অভিযোগের মধ্যে দেশটিতে নেতৃত্বের শূন্যতা তৈরি করে।

সোমবার আদালতের বিচারপতিরা সাত-এক ভোটে হানের অভিশংসন বাতিল করার রায় দিয়েছেন। আট বিচারপতির মধ্যে পাঁচজন বলেছেন, অভিশংসন প্রস্তাব বৈধ, কিন্তু আদালতের বিবৃতি অনুসারে, হানকে অভিশংসন করার মতো পর্যাপ্ত কারণ ছিল না। কারণ তিনি সংবিধান বা আইন লঙ্ঘন করেননি।

আর দুই বিচারপতি রায় দিয়েছেন, হান — যিনি তখন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন — তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব শুরু থেকেই অবৈধ ছিল। কারণ সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ আইনপ্রণেতা এটি পাস করেননি। আর একজন বিচারপতি হানকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা, রয়টার্স

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।