ঢাকাশনিবার , ২১শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উদ্যোক্তা
  6. কর্পোরেট
  7. কৃষি ও প্রকৃতি
  8. ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. পর্যটন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দক্ষিণ চীন সাগরে চর দখলে নিলো বেইজিং

Md Abu Bakar Siddique
এপ্রিল ২৮, ২০২৫ ৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

দক্ষিণ চীন সাগরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এবার অঞ্চলটির একটি ছোট বালুচর দখল করেছে চীনা কোস্টগার্ড।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ফিলিপাইনের সঙ্গে চীনের চলমান সমুদ্রসীমা বিরোধের মধ্যেই এই দখলদারি, যা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

বিবিসি জানায়, চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি সম্প্রতি কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে চারজন চীনা কোস্টগার্ড সদস্য কালো পোশাক পরিহিত অবস্থায় স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জের বিতর্কিত স্যান্ডি কেতে চীনের জাতীয় পতাকা উড়াচ্ছেন।

সিসিটিভি জানিয়েছে, এপ্রিলের শুরুতেই চীন “সামুদ্রিক নিয়ন্ত্রণ কার্যকর” এবং “সার্বভৌম কর্তৃত্ব প্রয়োগ” করেছে এই অঞ্চলে।

দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন দ্বীপ ও বালুচর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। চীনের পদক্ষেপের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায়, ফিলিপাইনও তিনটি বালুচরে নিজেদের পতাকা স্থাপন করেছে এবং একইভাবে ছবি প্রকাশ করেছে, যদিও তাদের পতাকা স্থাপিত এলাকাগুলোর মধ্যে স্যান্ডি কে রয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

 চীনের পদক্ষেপের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায়, ফিলিপাইনও তিনটি বালুচরে নিজেদের পতাকা স্থাপন করেছে এবং একইভাবে ছবি প্রকাশ করেছে

ফিলিপাইনের ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স ওয়েস্ট ফিলিপাইন সি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের অভিযানের সময় তারা চীনের কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ এবং সাতটি চীনা মিলিশিয়া নৌযান দেখতে পায়, যা “অবৈধ উপস্থিতি” বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ফিলিপাইনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই অভিযান তাদের সার্বভৌমত্ব এবং কর্তৃত্ব রক্ষার প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। অতীতে দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার নৌযান সংঘর্ষ ও সরাসরি হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। দক্ষিণ চীন সাগরের থিটু দ্বীপের (স্থানীয়ভাবে পাগ-আসা নামে পরিচিত) কাছেই অবস্থিত এই স্যান্ডি কে বালুচরটি, যেখানে ফিলিপাইনের সামরিক ফাঁড়ি রয়েছে। তবে আপাতত জানা গেছে, চীনা কোস্টগার্ড সদস্যরা স্যান্ডি কে ছেড়ে চলে গেছে এবং স্থায়ী দখলদারিত্বের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।

চীনের এই সাম্প্রতিক পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জেমস হিউইট ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “এ ধরনের কর্মকাণ্ড আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।”

তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের সঙ্গে এ বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ চীন সাগরের মতো স্পর্শকাতর অঞ্চলে এই ধরনের উত্তেজনা বাড়া সামগ্রিকভাবে বৈশ্বিক শান্তির জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। সূত্র: বিবিসি

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।