ঢাকামঙ্গলবার , ৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উদ্যোক্তা
  6. কর্পোরেট
  7. কৃষি ও প্রকৃতি
  8. ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. পর্যটন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপের অনন্য কৃতিত্ব বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’

Sohel H
মার্চ ২০, ২০২৩ ১:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!


‘সাবাশ, বাংলাদেশ, এ পৃথিবী
অবাক তাকিয়ে রয়ঃ
জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার
তবু মাথা নোয়াবার নয়’
সারাবিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যা একসময় ছিল যুদ্ধ বিধ্বস্ত এবং পৃথিবীর ১০টি দরিদ্রতম দেশের মধ্যে একটি। বাংলাদেশ যখন দরিদ্র দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার যাত্রা শুরু করেছিল ঠিক তখনই পৃথিবীর বুকে এই দেশকে এবং এই স্বাধীন দেশের স্বপ্নদ্রষ্টাকে পুনরায় উপস্থাপন করা হয়েছে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’-র মাধ্যমে যা বিশ্বের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অর্জন করে। এই মহান অর্জন জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশের জন্য একটি অন্যতম প্রধান অর্জন।
গত ২০২১সালে বগুড়াজেলারশেরপুরের বালেন্দা গ্রামেধানের চারা রোপণ করে গড়ে তোলা হয়েছিলজাতির পিতা বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবুর রহমানেরসুবিশাল প্রতিকৃতি (ক্রপ ফিল্ডমোজাইক)। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে২০২১ সালেগিনেস ওয়ার্ল্ডরেকর্ডস কর্তৃপক্ষএই মহান কর্মযজ্ঞটিকেবিশ্বের সবচেয়ে বড় শস্যচিত্রহিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গঠিতশস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুজাতীয় পরিষদের উদ্যোগে এবং ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার নামক একটি প্রাইভেট কোম্পানির অর্থায়নে প্রতিকৃতিটি তৈরি করা হয়।উক্ত শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুজাতীয় পরিষদের (৪১ সদস্য বিশিষ্ঠ)আহ্বায়ক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম এবং মুখপাত্র ও সদস্য সচিব ছিলেন কৃষিবিদ কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বারসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও রাষ্ট্রীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার ২০০২সালে কিছু অনন্য এবং উদ্ভাবনী কৃষি পণ্য নিয়ে একটি এগ্রোকেমিক্যালস কোম্পানি হিসাবে কৃষিবিদ কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করে। সারা দেশে বিপণন শুরু হওয়ার সাথে সাথেদক্ষ মানব সম্পদের সাথে মানসম্পন্ন ও নতুন উদ্ভাবিত পণ্য কৃষকের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে কৃষিভিত্তিক শিল্পে এই কোম্পানিটির অবস্থানে একটি স্বতন্ত্র পার্থক্য তৈরি করেছে।ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার সময়ের সাথে ব্যবসার সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্ঠান শুরু করে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপ হিসেবে নিজেদেরকে উন্মোচিত করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল হিউম্যান ও ভেটেরিনারি ড্রাগ ম্যানুফ্যাকচারিং ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি ওয়ান ফার্মা লিঃ, প্রযুক্তি নির্ভর কোম্পানিওয়ান ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজী লিঃ,উন্নতমানের বীজ গবেষণা ও উৎপাদনকারী কোম্পানি ওয়ান সীডস লিঃ, গৃহায়ন ও ইন্টেলিজেন্ট লাইফ স্টাইল এবংরিয়েল এস্টেট কোম্পানি চায়না গার্ডেনসিটি ডেভেলপারস লিমিটেড, উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড সীডস বাজারজাতকারী কোম্পানি ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার হাইব্রিড সীডস লিঃ, প্যাকেজিং, হোম হেলথ কেয়ার সার্ভিস (নো চিন্তা লিঃ) এবং সামাজিক কল্যাণধর্মী পৃথক ২টি ফাউন্ডেশন সৈয়দ মোমেনা মোন্তাজ ফাউন্ডেশন এবং হিমিকাস এঞ্জেলস ফর হিউম্যানিটি। ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপ একটি নাম ঘঅঈ এর অধীনেসামগ্রিক কৃষি সংশ্লিষ্ট পণ্য ও সেবা প্রদান করে আসছে। এই কৃষি পণ্যের মধ্যে রয়েছে বীজ, সার এবং প্ল্যান্ট গ্রোথ হরমোন, বালাইনাশক (পেস্টিসাইড, ফাঞ্জিসাইড, হার্বিসাইড), ন্যানো টেকনোলজি, কৃষি যন্ত্রপাতি ও আনুষাঙ্গিক, উৎপাদন প্রযুক্তি এবং টেকনোলজি ট্রান্সফার, প্যাকেজিং ইত্যাদি। এই পণ্য ও সেবাসমূহ ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকদের প্রতি ইউনিটে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য যে, ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার বগুড়ারে বাংলাদেশের একমাত্র নিরাপদ বালাইনাশক উৎপাদনের কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছে ২০২১ সালে। কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আনয়নে এবং কৃষকের উন্নত ও গুণগত মানসম্পন্ন বীজের চাহিদা মেটাতে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার বগুড়া জেলার কাহালুতে প্রায় ৫০ বিঘারও অধিক জমিতে প্রতিষ্ঠা করেছে দেশের সর্ববৃহৎ বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্র। এর মাধ্যমে উৎপাদিত বীজের গুণগত মান নিশ্চিত করে কৃষকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার। বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার এবং জনাব মোস্তাফিজুর রহমান কতিপয় রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পুরষ্কার অর্জন করেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সবুজ বিপ্লব এ্যাওয়ার্ড (২০০৭), কৃষি বিপ্লব এ্যাওয়ার্ড (২০০৯), কমার্শিয়ালি ইম্পরট্যান্ট পার্সন (২০১৩), রাষ্ট্রপতি শিল্প উন্নয়ন পুরষ্কার (২০১৪), গ্লোবাল অন্ট্রাপ্রেনিউর এ্যাওয়ার্ড (২০১৯, আন্তর্জাতিক) এবং গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস (২০২১)। বাংলাদেশে বালাইনাশক শিল্পের বিকাশের জন্য এবং স্থানীয় উৎপাদনকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য কৃষিবিদ কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান “বাংলাদেশ এগ্রোকেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন (বিএএমএ)” প্রতিষ্ঠা করেন।
কৃষিবিদ কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্বাস করেন, ব্যক্তিগত সব অর্জন বৃথা হয়ে যায় যদি না দেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড় করাতে না পারেন। এই ভাবনা থেকেই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অর্থাৎ ২০২০ সালে তাঁর প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দিয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করার জন্য ৪১ সদস্য বিশিষ্ঠ “শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ” গঠন করা হয়যার আহ্বায়ক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম এবং মুখপাত্র ও সদস্য সচিব ছিলেন কৃষিবিদ কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান। কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বারসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ছিলেন। এই মহান কর্মযজ্ঞটি বাস্তবায়ন করার জন্য চায়না থেকে আমদানি করা হয়েছিল বেগুনি ধান (হাইব্রিড এফ-১) এবং সোনালি রং এর ধান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারের বহুল জনপ্রিয় হাইব্রিড ধানবীজ “জনকরাজ”। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে চারা রোপনের মাধ্যমে এই সুবিশাল কর্মযজ্ঞের যাত্রা শুরু হয়। প্রায় ১২০ বিঘা জমির উপরে জাতির পিতার মুখচ্ছবি তৈরি করা হয়।
আয়োজকরা জানান, বাস্তবায়নকালে প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৩০ জন নারী শ্রমিক কাজ করেছেন। তাদের সাথে প্রতিদিন যুক্ত ছিলেন ১৫ থেকে ২০ জন পুরুষ শ্রমিক। তাদের সমন্বয়ে এই কার্যক্রম সম্পন্নকরা হয়। তারা আরও জানান, এর আগে ১৩ রেজিমেন্টের বিএনসিসির ১০০ সদস্যশুকনো জমিতে প্রতিকৃতি নির্মাণ করেন। আরেকটি দল কাদা জমিতে লে-আউট তৈরি করেন। তাদের মধ্যে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের সদস্য ছাড়াও বগুড়ার আজিজুল হক সরকারি কলেজ ও সরকারি শাহ সুলতান কলেজের অনেক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এই মহান কর্মযজ্ঞটি মার্চ ৯, ২০২১ তারিখে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র হিসেবে গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃক স্বীকৃতি পায় যার আয়তন ছিল ১১৯৪৩০.২৭৩ বর্গমিটার যা ভেঙ্গে দিয়েছিল গণচীনে তৈরি ৭৯৫০৫.১৯ বর্গ মিটার শস্যচিত্রের রেকর্ড। এই মহান কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে জাতির পিতা এবং প্রিয় বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে আবারো উপস্থাপিত হয়েছে ভিন্নরুপে।
ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার কর্তৃক পৃথিবীর সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র স্থাপনের উদ্যোগটি ছিল অন্যতম একটি প্রয়াস এবং যেটি বাংলাদেশের জন্য অর্জন করে এনেছে গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ২০২১। জাতির এই মহান অর্জনে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গর্বিত।’
ব্যবসায়িক সম্প্রসারণের পাশাপাশি, ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সামাজিক দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে সমাজের কল্যাণের কাজ করে যাচ্ছে। এই উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হয় সৈয়দ মোমেনা মোনতাজ ফাউন্ডেশন এবং হিমিকাস এঞ্জেলস ফর হিউম্যানিটির। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, খেলাধুলা এবং উন্নত গবেষণা ইত্যাদি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার। সম্প্রতি বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা গ্রামে সৈয়দ মোমেনা মোন্তাজ কলেজ প্রতিষ্ঠার কাজ সরকারী অনুমোদনে শুরু হয়েছে যার মাধ্যমে উক্ত এলাকায় শিক্ষা সম্প্রসারণ ঘটবে। তাছাড়াও, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি অধ্যয়নের জন্য কৃষি গবেষণা ত্বরান্বিত করতে সৈয়দ মোমেনা মোন্তাজ ফাউন্ডেশন থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকল্পে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে সৈয়দ মোমেনা মোন্তাজ ফাউন্ডেশন ও হিমিকাস এঞ্জেলস ফর হিউম্যানিটি।
বাংলাদেশের কৃষিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ, লাভজনক ও টেঁকসই করতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে, জনমানুষের স্বপ্ন ফলাতে ও বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করার লক্ষে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার কাজ করে যাচ্ছে অবিরাম।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।