ঢাকাশনিবার , ২১শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উদ্যোক্তা
  6. কর্পোরেট
  7. কৃষি ও প্রকৃতি
  8. ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. পর্যটন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন চাষিরা

Md Abu Bakar Siddique
মার্চ ২৪, ২০২৫ ১:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

একসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় পান চাষ ছিল লাভজনক ও জনপ্রিয়। কৃষকরা এতে সফলও হয়েছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রণোদনার অভাবে পান চাষ কমে যাচ্ছে।

একদিকে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, অন্যদিকে সরকারি সহায়তার অভাবে চাষিরা পান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নে বহু পরিবার প্রাচীনকাল থেকে পান চাষ করত। এখানকার পান স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয় এবং চাহিদাও ছিল বেশি। তবে সঠিক পরিকল্পনা ও সরকারি সহায়তা পেলে এই চাষ আবারও লাভজনক হতে পারে এবং জাতীয় অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখতে পারে।

একসময় উপজেলার শ্রীঘর, শাহবাজপুর ও শ্যামগ্রামে ৪০-৪৫টি বরজ থাকলেও বর্তমানে তা কমে মাত্র সাত থেকে আটটিতে নেমে এসেছে। যারা পূর্বপুরুষের পেশা ধরে রেখেছেন, তারাও আগ্রহ হারাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, একসময় এ অঞ্চলে পান চাষে ব্যাপক আগ্রহ ছিল, কিন্তু এখন মাত্র সাত থেকে আট বিঘা জমিতে কিছু চাষি পান চাষ করছেন। তারা মনে করেন, সরকার সহায়তা দিলে পান চাষ আবারও বিস্তৃত হতে পারে।
পানচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা পূর্বপুরুষের পেশা ধরে রাখলেও নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। পানের বরজ তৈরি করে ভালো ফলন পেলেও কীটনাশক ও সার ব্যবহারে রোগ ঠেকাতে পারছেন না। সমস্যা দেখা দিলে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও ঔষধ বিক্রেতাদের পরামর্শে ব্যবস্থা নিতে হয়। কৃষি বিভাগের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাওয়া যায় না। ফলে আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়ে তারা অন্য ফসলের দিকে ঝুঁকছেন।

স্থানীয় পান চাষি মিলন দত্ত বলেন, ‘সরকার কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে সার, বীজ ও কীটনাশক বিতরণ করলেও পান চাষিরা কিছুই পান না। কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা পেলে চাষিরা আগ্রহ হারাত না। ঝড়-বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে অন্য ফসলের ক্ষতি হলে সরকার সহায়তা দেয়, কিন্তু পান বরজ নষ্ট হলে কেউ পাশে দাঁড়ায় না। এভাবে চললে ভবিষ্যতে কেউ পান চাষ করবে না।’

ধর্মীয় উৎসব ও বিয়ে-শাদিতে পানের ব্যবহার প্রচলিত। যুগের পরিবর্তনে অনেক কিছুর চাহিদা কমলেও পান এখনো জনপ্রিয়। তাই পানচাষিদের টিকিয়ে রাখতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন—এটাই সবার প্রত্যাশা।

নবীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, ‘উপকূলীয় এলাকা ছাড়া পানচাষের ওপর কৃষি বিভাগের কার্যক্রম নেই। তবে চাষিরা পরামর্শ চাইলে সহায়তা দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সহায়তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব।’

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।