বিশেষ শিশুদের কেউ কেউ ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে, কেউ গানের তালে গান-নৃত্য করছে, অনেকে ফ্যাশন শোতে দলগতভাবে অংশ নিয়েছে, কেউ কেউ তাদের নিজেদের তৈরি জামা কাপড়, খাবার ও নানা তৈজসপত্রের স্টল পরিচালনা করছে। সমাজের বোঝা হিসেবে নয়, বরং প্রতিবন্ধিতা কাটিয়ে তারা যেন সফল মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পেরেছে।
বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এমন একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন দেখা গেল ঢাকার ভাটারার ছোলমাইদ এলাকায় অবস্থিত নীল সেন্টারের অমরজ্যোতি স্পেশাল স্কুলে। অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল ডিজঅ্যাবেল্ড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন (ডিআরআরএ)।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাজিল, ইতালি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যরা। আরো উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি, ইউনাইটেড ট্রাস্টের প্রতিনিধিসহ ডিআরআরএ-এর নির্বাহী পরিচালকসহ প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোর ও তাদের অভিভাবকরা।
উপস্থিত অতিথিরা মন্তব্য করেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদেরকে নিয়ে এসব কার্যক্রম সমাজের অনন্য দৃষ্টান্ত। এ ধরনের কাজ আরো বেশি করতে সমাজের সব শ্রেণি ও পেশার মানুষকে এগিয়ে আসাসহ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও টেকসই উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
ডিআরআরএ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন জানান, প্রায় ৩০ বছর ধরে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে তারা কাজ করে আসছেন। এই বিশেষ জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন করে কর্মস্থান উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য তাদের নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি জানান, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের স্কুল পরিচালনা, কর্মসংস্থান প্রকল্প গ্রহণ ছাড়াও তাদের রয়েছে ফিজিওথেরাপি, সেন্সরি থেরাপি প্রভৃতি স্বাস্থ্য সেবামূলক কার্যক্রম।