মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ছিল বিশাল। বাঙালি চেয়েছিল এমন একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। যা প্রতিষ্ঠিত হবে কিছু আদর্শগত ভিত্তির উপর। সেসব আদর্শের দিকে ফিরে তাকানোর দাবি নিয়ে এসেছে স্বাধীনতা দিবস। শোক ও স্বাধীনতার গর্বিত মুহূর্ত খুব কম জাতির জীবনে পাশাপাশি এসেছে। ২৬ শে মার্চ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। যে দিনটি কোটি বাঙালির সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায়। প্রতি বছরই মার্চ মাস আসে। তবে সব বছরের সব মার্চ এক রকম নয়। ১৯৭১ সালের মার্চ মাস ইতিহাসের সকল মার্চের চেয়ে আলাদা। সেটা ছিলো মহা মর্যাদাপূর্ণ এক মাস। একাত্তরের মার্চে পূর্ব বাংলায় ঐক্য ও পরিবর্তনের দমকা হাওয়া বয়েছিল। কে ভেবেছিলো মার্চেই রচিত হবে ইতিহাস। প্রথম দিনটিই আগুনের ফুলকি ছড়াবে। ৭ই মার্চে যে নিপীড়িত বাঙালীর মুক্তির বার্তা আসবে সেটাও কেউ ভাবেনি। তবে তাই হয়েছে। এই মুক্তি বার্তার কারিগর ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। ৫১ বছর আগে এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশকে দখলদারমুক্ত করতে সংগ্রামে নামার আহ্বান জানান।
৭১ সালের পহেলা মার্চ থেকে টানা ২৪ দিন ধরে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন চলছিলো। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কৌশলের কাছে পরাস্ত হয়ে গণহত্যার দিকে এগিয়ে যায় পাকিস্তানি সামরিক জান্তা সরকার। গণহত্যার নেতৃত্ব দেন জেনারেল ইয়াহিয়া ও চক্রান্তকারী পিপলস পার্টি প্রধান জুলফিকার আলী ভুুট্টো। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বাধীনতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলেও ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণেই ‘বাংলাদেশ’ রাষ্ট্রের ‘স্বাধীনতা ও মুক্তি’ অর্জনের রূপরেখা তৈরি হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাঙালিদের ইষ্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তুলে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে মরণপণ সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে শক্তি ও সাহস জুগিয়েছিল। হানাদারদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে প্রতিরোধ শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। কিন্তু ৭ মার্চ স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামের ঘোষণা দিয়ে বঙ্গবন্ধু দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন বাঙালির পথরেখা কোন দিকে। তার তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশনামূলক উদাত্ত আহ্বানে গোটা জাতি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে প্রত্যক্ষভাবে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে মানুষ বুঝে নিয়েছিল এখনই ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ার সময়।
শুধু ইতিহাস নয় স্বাধীন বাংলাদেশে স্মৃতিচারণ করে শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই বলেছেন, ৭ মার্চ তারিখেই প্রকৃত স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছিল। ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণে শেখ মুজিব বলেছিলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে ৭ মার্চেই স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেদিন পরিষ্কার বলা হয়েছিল, এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম। ৭ মার্চ স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামের ঘোষণা দেওয়ার পর ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে গ্রেপ্তার হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু বহুবার বাঙালিকে স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে শক্ত ও পরিষ্কার আহ্বান জানিয়েছেন।
সে এক যুদ্ধমুখর সময়ের কথা। বিশ্বজুড়ে চলছিল যুদ্ধের দামামা। ছিল স্নায়ুযুদ্ধের গা হিম করা উত্তেজনা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রাম চলছিল। একদিকে কমিউনিস্টদের বিপ্লব, অন্যদিকে স্বাধীনতার দাবিতে বেশ কয়েকটি রণাঙ্গনে রক্ত ঝরাচ্ছিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এরকম একটি সময়েই বঙ্গবন্ধুর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার। যেন সঙ্গে সঙ্গে জেগে ওঠে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি। শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। তবে, বাঙালি জাতির এই মুক্তিসংগ্রাম ছিল অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধ ছিল সম্পূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের একমাত্র জাতীয় নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী দলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রত্যক্ষ সমর্থন ও অংশগ্রহণ ছিল এই যুদ্ধে। বাঙালি জাতির দীর্ঘকালের সংগ্রাম চূড়ান্ত পরিণতি পায় এই যুদ্ধের মাধ্যমে। ৯ মাস যুদ্ধের পরে লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই স্বাধীনতা। এই দিনে জাতি স্মরণ করে বীর শহিদদেন। স্বাধীনতা দিবস তাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে মুক্তির প্রতিজ্ঞায় উদ্দীপ্ত হওয়ার ইতিহাস। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত সশস্ত্র জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মুক্তির ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস। স্বাধীনতার ইতিহাস ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান আর দুই লক্ষ মা-বোনের ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং কোটি বাঙালির আত্মনিবেদন ও সংগ্রামের গৌরবগাঁথা গণবীরত্বের ইতিহাস।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা
৫১ বছর আগে এই দিনেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশকে দখলদারমুক্ত করার সংগ্রামে নামার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
পাকিস্তানি ঘাতক সেনাবাহিনী ২৫ মার্চ রাতে যখন রাজধানীতে এক নৃশংস গণহত্যায় মেতে ওঠে, তখন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে নিজ বাসায় গ্রেপ্তার হওয়ার আগমুহূর্তে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে একটি বার্তা পাঠান। বার্তায় তিনি বলেছিলেন, ‘আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র। একে যে রকম করেই হোক শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।’ ইপিআরের ওয়্যারলেস থেকে তার এই বার্তা প্রচারিত হয়েছিল।
১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র তৃতীয় খণ্ডে শেখ মুজিবের স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ২৫ মার্চ মধ্যরাতের পর, অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে এ ঘোষণা দেন তিনি, যা তৎকালীন ইপিআরের ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রামের স্থানীয় একটি বেতারকেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজন শেখ মুজিবের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।
স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে পাকিস্তানের তৎকালীন পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মেজর সিদ্দিক সালিক তার ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ বইয়ে লিখেছেন, “যখন প্রথম গুলিটি ছোড়া হল, ঠিক সেই মুহূর্তে পাকিস্তান রেডিওর সরকারি তরঙ্গের কাছাকাছি একটি তরঙ্গ থেকে ক্ষীণস্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের কণ্ঠস্বর ভেসে এল। ওই কণ্ঠের বাণী মনে হল আগেই রেকর্ড করে রাখা হয়েছিল। তাতে শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ঘোষণায় বলা হয়, ‘এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। বাংলাদেশের মানুষ যে যেখানে আছেন, আপনাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর মোকাবেলা করার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি। তথ্যসূত্র: রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী ‘৭১ এর দশমাস’, বিবিসি, ডয়চে ভেলে, তোফায়েল আহমেদ।
স্বাধীনতা দিবসের ইতিহাস
২৬ মার্চ, আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসের রক্ত অক্ষরে লেখা অনন্য এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। তবে এই দিনটি আসার পেছনের ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখতে পাই ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী পূর্ব বাংলার মানুষ তথা বাঙালিদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করে। প্রথমেই বাঙালিদের মাতৃভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানে। সমগ্র পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষা বাংলাকে বাদ দিয়ে উর্দুকে এককভাবে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়া হয়। গর্জে ওঠে বাঙালি, গড়ে তুলে ভাষা আন্দোলন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রম্নয়ারিতে বাংলার দামাল তরুণদের জীবন দেয়ার মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বাঙালিদের রাজনৈতিক ঐক্য যুক্তফ্রন্ট বিজয় অর্জন করে। কিন্তু পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে অল্পকালের মধ্যেই ভেঙে দেয় প্রাদেশিক যুক্তফ্রন্ট সরকার। অল্পকালের মধ্যেই গড়ে ওঠে ছয় দফা ও এগার দফা আন্দোলন। আন্দোলন ক্রমেই গণআন্দোলনে রূপ লাভ করে। আর এরই মধ্যে আগুনে ঘি ঢালার মতো ঘটনা ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সংগঠিত হত্যাকান্ড। এবার গণআন্দোলন গণবিস্ফোরণে পরিণত হয়। আন্দোলনের মুখে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান পদত্যাগ করলেন। ক্ষমতায় আসলেন জেনারেল ইয়াহিয়া খান। ইয়াহিয়া খান ক্ষমতায় এসেই নির্বাচন দিলেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বাঙালিদের রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয় না। শুরু হয় ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র। ইয়াহিয়া তথা সরকারপক্ষ আলোচনায় বসতে চাইলেন এবং বসলেন। এবার শুরু হলো আলোচনার নামে কালক্ষেপণ। এতসব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এ বিশাল জনসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে বললেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ২৫ মার্চ রাতে শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে ঘুমন্ত বাঙালিদের ওপর। পৃথিবীর ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকান্ড চালায় অপারেশন সার্চলাইট নাম দিয়ে। তখন থেকেই ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
স্বাধীনতার উদ্দেশ্য
স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য ছিল আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জন ও অসাম্প্রদায়িক, কল্যাণমুখী, মানবিক, প্রগতিশীল স্বতন্ত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। মানুষের মৌলিক অধিকার ও ন্যায়সংগত অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় প্রতিষ্ঠা, শোষণ, বৈষম্য, অন্যায়ের অবসান ঘটিয়ে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত একটি সুখীসমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ছিল স্বাধীনতার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।
জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য অপরিসীম। এই দিনটি বাঙালির জীবনে বয়ে আনে একই সঙ্গে আনন্দ-বেদনার মধুর অনুভূতি। একদিকে হারানোর কষ্ট অন্যদিকে প্রাপ্তির আনন্দ। তবে শেষ পর্যন্ত সর্বস্ব হারিয়েও স্বাধীনতা প্রাপ্তির অপার আনন্দই বড় হয়ে ওঠে প্রতিটি বাঙালির কাছে। গৌরবোজ্জ্বল এই দিনটি প্রতিবছর আসে আত্মত্যাগ ও আত্মপরিচয়ের বার্তা নিয়ে। স্মরণ করিয়ে দেয় আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য। নব উদ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনা নিয়ে আসে এই দিন।
সংকট উত্তরণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে আশার কথা হলো, আমাদের বর্তমান প্রজন্ম স্বাধীনতার ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহী। এই প্রজন্মকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার দীক্ষায় দীক্ষিত করতে হবে। এ জন্য এদের হাতে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে দেয়া জরুরি। জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে সঠিক ইতিহাস সংগ্রহের মাধ্যমে ইতিহাসবিকৃতি রোধের মাধ্যমে তা সম্ভব হতে পারে। দল কিংবা ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে ওঠে কল্যাণমুখী রাজনীতির চর্চা করতে হবে।