১৯৯২ সালে বহুজাতিক ব্যাংক অব ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ইন্টারন্যাশনাল (বিসিসিআই) বন্ধ হয়ে গেলে, ব্যাংকটির বাংলাদেশ কার্যক্রম পুনর্গঠন করে গঠন করা হয় ইস্টার্ন ব্যাংক। তৎকালীন সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে বিসিসিআইয়ের বড় অঙ্কের আমানতকারীরা হয়ে যান ইস্টার্ন ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার।
সুশাসন, সঠিক নির্দেশনা এবং আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার কারণে ইস্টার্ন ব্যাংক আজ দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যাংক। ২০ বছর ধরে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ৩ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের সঠিক নেতৃত্ব ও আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং নীতির অনুসরণের ফলে ব্যাংকটি আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জন করেছে।
ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী রেজা ইফতেখার বলেন, “আমাদের মূল নীতিই ছিল যথাযথ যাচাই-বাছাই ছাড়া গ্রাহক নেওয়া হবে না। এটি ব্যাংকের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করেছে।”ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান শওকত আলী চৌধুরী বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, ব্যাংক পরিচালনা করবেন ব্যাংকাররা, পরিচালকরা কোনো হস্তক্ষেপ করবেন না। ফলে ব্যাংকটি বাজারের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।”
বর্তমানে ব্যাংকটির মোট শাখা ৮৫টি ও উপশাখা ৪৫টি। গত বছর ব্যাংকটি ১ লাখের বেশি নতুন গ্রাহক যুক্ত করেছে এবং পরিচালন মুনাফা করেছে ১,৭০০ কোটি টাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইস্টার্ন ব্যাংকের সুশাসন ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দেশের অন্য সংকটে পড়া ব্যাংকগুলোর জন্য অনুকরণীয় হতে পারে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।