ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৯শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উদ্যোক্তা
  6. কর্পোরেট
  7. কৃষি ও প্রকৃতি
  8. ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. পর্যটন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশে গুরুত্ব

Md Abu Bakar Siddique
জুন ৫, ২০২৫ ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের ওপর জোর দিয়েছে দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি)।

গতকাল বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে আইসিএবি অডিটরিয়ামে সংগঠনের সভাপতি মারিয়া হাওলাদার এই বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

এ ছাড়া কম্পানির লেনদেনের ওপর কর বা টার্নওভার কর ০.৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করাকে করনীতির পরিপন্থী বলে মনে করেন

তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ে লাভ হলেই শুধু করযোগ্য আয়ের ওপর কর আরোপ করা উচিত হবে বলে আমরা মনে করি। তাই এটি বাদ দেওয়া প্রয়োজন।’

আইসিএবি সভাপতি বলেন, আগামী বছর থেকে সব করদাতার অনলাইনে বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা হচ্ছে। আমরা মনে করি অনলাইনে রিটার্ন জমা করদাতাদের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সব করদাতার অনলাইনে বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা নিশ্চিত করা গেলে রিটার্ন জমার সংখ্যা বাড়বে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ করবর্ষের জন্য তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই সীমা সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো গেলে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর কিছুটা উপকার হতো। সরকারের উচিত কর জাল সম্প্রসারণ এবং কর ফাঁকি রোধ করে কর আদায়ের চেষ্টা করা। করব্যবস্থাকে আরো প্রগতিশীল এবং ন্যায়সংগত করার জন্য সংস্কারও গ্রহণ করা প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে, বাজেটে বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে, ২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে যেমন : মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিনিয়োগের বাধা মোকাবেলা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং সামাজিক সুরক্ষায় উচ্চতর বিনিয়োগ এসবের দিকে সরকারকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।

কিছু পাবলিকলি ট্রেডেড কম্পানি ছাড়া নগদহীন কম্পানির জন্য করের হার বৃদ্ধি করে ২৭.৫০ শতাংশ করা হয়েছে। এটি ২৫ শতাংশের মধ্যে থাকা উচিত ছিল। করমুক্ত আয়ের প্রাথমিক সীমা বৃদ্ধি এবং সিকিউরিটিজের সুদ থেকে উৎস কর্তন ৫ শতাংশ পুনঃপ্রবর্তন করা এবং অন্য স্ল্যাবগুলোতে সীমা বৃদ্ধি করা, যাতে এটি সত্যিই প্রগতিশীল হয়।

সামষ্টিক অর্থনীতির দিক থেকে দেশের মুদ্রাস্ফীতির হার ৯.১৭ শতাংশের বেশি, যা উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির ইঙ্গিত। মোট বাজেটের প্রায় ১২.২৫ শতাংশ অর্থাৎ এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে অর্থায়ন করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মূল্যস্ফীতির কারণ হতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে বাজেটের বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন এসএমএসি অ্যাডভাইজারি সার্ভিসেস লিমিটেডের পরিচালক স্নেহাশীষ বড়ুয়া।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।