মানিকগঞ্জ জেলার কৃষকেরা এখন খেসারি কালাই ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বছর ফলন কিছুটা কম হলেও, কৃষকেরা আশা করছেন যে খেসারি কালাইয়ের ভালো দাম পাওয়া গেলে তারা কিছুটা লাভ করতে পারবেন।কৃষকেরা জানান, অন্য ফসলগুলোর ফলন তেমন ভালো হয়নি এবং খরচ বেশি হওয়ায় তাদের আয় কমে গেছে। তবে খেসারি চাষে খরচ কম এবং দাম ভালো থাকলে সারাবছরের লোকসান কিছুটা পুষিয়ে উঠতে পারবেন।মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর জেলায় খেসারি কালাই চাষ হয়েছিল ২ হাজার ১৪ হেক্টর জমিতে, কিন্তু এ বছর তা ৭২ হেক্টর কমে ১ হাজার ৯৪২ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলন কিছুটা কমেছে।উভাজানী গ্রামের কৃষক মানিক দেওয়ান বলেন, “এ বছর কলই (খেসারি) চাষে ফলন কম হয়েছে। বৃষ্টিতে কিছু গাছ নষ্ট হয়ে গেছে এবং মজুরি দরের কারণে খরচও বেড়েছে।” ফরিদপুর থেকে আসা শ্রমিক সবির আলী বলেন, “প্রতিদিন ৬০০ টাকা মজুরি পাচ্ছি এবং কাজ শেষ করে বাড়ি গিয়ে ঈদ উদযাপন করবো।”
এছাড়া, কৃষক রবিউল দেওয়ান জানান, “আগে প্রতি বিঘায় ৫ মণ খেসারি পেতাম, তবে এ বছর ৪ মণ হতে পারে। অন্য ফসলের দাম কম হওয়ায় কিছুটা ক্ষতিতে আছি, কিন্তু খেসারির বাজার ভালো হলে আশা করি লাভ হবে।”জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. রবীআহ নূর আহমেদ বলেন, “এ বছর বন্যা না হওয়ায় খেসারি কালাইয়ের আবাদ কমে গেছে। বন্যা হলে মাটিতে পলি জমে, যা ফসলের ফলন বাড়াতে সাহায্য করে। তবে, আমরা আশা করছি, বাজারে ভালো দাম পাওয়া যাবে।”এছাড়া, কৃষকদের মতে, খেসারি কালাই চাষে স্থানীয় শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, এবং তারা আশা করছেন যে আগামীতে ভালো ফলন এবং দাম পাওয়া গেলে, ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন।