কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের শিকার এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার শাহ পরানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
কুমিল্লার আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. সাদেকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রবিবার (৬ জুলাই) রিমান্ডের আবেদন করবেন।
গত ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামে এক নারীকে ধর্ষণের পর নির্যাতন করা হয়। এর পর ধর্ষক ও ভুক্তভোগী নারীকে নির্যাতনের দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন।
ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড হিসেবে শাহ পরানের নাম উঠে আসে পুলিশের তদন্তে। পরে র্যাব-১১-এর একটি দল জেলার বুড়িচং উপজেলার কাবিলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে শাহ পরানকে।
মুরাদনগরে আলোচিত ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনায় করা দুটি মামলার ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী এখন পর্যন্ত ধর্ষণে অভিযুক্ত ফজর আলীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে ফজর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাকি পাঁচ আসামি হলেন- ধর্ষক ফজর আলীর ভাই শাহ পরান, একই এলাকার সুমন, রমজান, আরিফ ও অনিক। এর মধ্যে শাহ পরান ছাড়া বাকি চারজনকে গত ৩ জুলাই আদালত তিনদিনের রিমান্ডে পাঠান।
দেশজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি করা এ ঘটনার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পেলে তাকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’