প্রবাস জীবন শেষে বাংলাদেশে ফিরে এসে মাশরুম চাষ শুরু করে সফল হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। সৌদি আরবে থাকাকালীন প্রথম মাশরুম খাওয়ার পর তিনি চাষের প্রতি আগ্রহী হন এবং দেশে ফিরে তেওয়ারীগঞ্জের বিনোদ ধর্মপুর গ্রামে খামার গড়ে তোলেন। বর্তমানে তার খামারে ৩ জাতের মাশরুম উৎপাদিত হচ্ছে, যা স্থানীয় বাজার ছাড়াও নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং ঢাকায় বিক্রি হয়।দেলোয়ারের খামারে মাশরুম উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয় কাঠ, খড়, গমের ভুষি, ক্যালসিয়াম চুন ও পানির মিশ্রণে। এসব উপকরণ পলিথিনে মোড়ানো প্যাকেটে ভর্তি করে জীবাণুনাশক মেশিনে ২৪ ঘণ্টা রাখা হয়। এরপর এসি রুমে থাকা ল্যাবঘরে মাদার টিস্যু দিয়ে ২৮ দিন রাখা হয়। পরে মূল খামারে প্যাকেটগুলো ঝুলিয়ে রাখা হয়, যেখানে মাশরুম উৎপাদিত হয়। প্রতিদিন ২০-২৫ কেজি মাশরুম উৎপাদিত হয়ে বাজারে বিক্রি হয়।
দেলোয়ার বলেন, “দেশে ফিরে আমি হতাশায় ছিলাম, কিন্তু ২০২২ সালে মাশরুমের খামার শুরু করার পর কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সফলতা পেয়েছি। মাশরুমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা নিয়ে প্রচারণা চালালে দেশেই বড় বাজার সৃষ্টি হবে এবং কর্মসংস্থান তৈরি হবে।”এছাড়া, তিনি মাশরুম রপ্তানির সম্ভাবনাও দেখছেন এবং কম খরচে বেশি লাভের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, “বিনা সুদে সহজ শর্তে ঋণ পেলে খামারের প্রসার সম্ভব হবে।”লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান ইমাম বলেন, “মাশরুমের চাষে সম্ভাবনা রয়েছে এবং আমরা আগ্রহীদের প্রশিক্ষণসহ যাবতীয় সহযোগিতা প্রদান করছি।”দেলোয়ারের এই সফলতা স্থানীয় তরুণদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে, অনেকেই এখন মাশরুম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।