ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, যা এখনও অব্যাহত রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, “এক দফা দাবির মূল কথা ছিল ফ্যাসিবাদের পতন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। একটা অর্জন হয়েছে, তবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।”
সোমবার (১৭ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাধীনতার মালিকানা নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা একটি পরিবর্তন এনেছি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মালিকানা নিয়ে একটি বিশেষ দলের অপচেষ্টা ছিল, যা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আজকেও আমরা ষড়যন্ত্রের চিত্র দেখছি। বছরের পর বছর আন্দোলনের পর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই আমরা পরিবর্তন অর্জন করেছি। এই বিজয় কেবল একটি গোষ্ঠীর নয়, এটি সব শ্রেণির মানুষের সংগ্রামের ফসল।”
ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের দাবি
মাহফিলে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, “আমরা ১৭ বছর ধরে লড়াই করেছি গণতন্ত্রের জন্য। যে দেশে ভোটাধিকার নেই, সে দেশে গণতন্ত্র আছে তা বলা যায় না।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের মূল লড়াই ছিল ভোটাধিকারের জন্য। আমরা গত ১৭ বছর ধরে ভোট দিতে পারিনি। এখন আমাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে হবে। বর্তমান সরকার আমাদের আন্দোলনের ফসল। যদি তারা জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে, তাহলে মানুষ ঘরে বসে থাকবে না।”
ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।