আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সোমালিয়ার চলমান খরায় ২০২২ সালে প্রায় ৪৩,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে অর্ধেক ছিল পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু। দেশটিতে গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন গবেষকরা। জাতিসংঘ বলছে, টানা পাঁচ বছর প্রয়োজনমতো বর্ষাকাল না হওয়ায় সোমালিয়ার ১৭ মিলিয়ন মানুষের অর্ধেকেরই জরুরি সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের নেতৃত্বে এ গবেষণা চালানো হয়েছে। এতে দেখা যায়, অর্ধেক মৃত্যু ৫ বছরের কম বয়সী শিশু। দিন দিন এটি ২০১৭ ও ২০১৮ সালের চেয়েও খারাপ অবস্থা ধারণ করছে। ২০২৩ সালের শুরুতে মৃত্যুর হার বাড়তে পারে বলেও জানানো হয় এ গবেষণায়। এতে ১৮,১০০ থেকে ৩৪,২০০ জনের মৃত্যু হতে পারে। সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুতে প্রতিবেদনটি উপস্থাপনের সময় জাতিসংঘের শিশু সংস্থার প্রতিনিধি ওয়াফা সাঈদ বলেন, এই ফলাফলগুলো খরার কারণে শিশু এবং তাদের পরিবারের ওপর নেমে আসা ধ্বংসাত্মক চিত্রকে তুলে ধরছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে খাদ্য সংকটের তীব্রতা নির্ধারণের জন্য বিশ্বব্যাপী মান নির্ধারণ করা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) জানায়, “দুর্ভিক্ষ সাময?িকভাবে এড়ানো হয়েছে কিন্তু পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে।” সমীক্ষার সহ-লেখক ফ্রান্সেস্কো চেচি বলেছেন, “দুর্ভিক্ষ উপাধির অভাব সংকটের মাত্রা থেকে বিভ্রান্ত হওয়া উচিত নয়।” “আমরা আসলে যা দেখাচ্ছি তা হল অর্থায়ন এবং মানবিক প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে ধীর হওয়ার সময় নয়।”