ভারতের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী ও বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের সাবেক স্বামী সঞ্জয় কাপুর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, পোলো খেলার সময় হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে সেখানেই মারা যান তিনি। সঞ্জয়ের মৃত্যুতে বলিউড অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন কারিশমা কাপুরও। বিচ্ছেদের পর সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকলেও পরে তারা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।
তবে এক সময় সঞ্জয় কাপুরকে নিয়ে গুরুতর সব অভিযোগ তুলেছিলেন কারিশমা। তার অভিযোগ, মধুচন্দ্রিমার সময়ই তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। একাধিক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, সঞ্জয় তাকে এক বন্ধুর সঙ্গে বিছানায় যেতে জোর করেছিলেন এবং সেই বন্ধুর কাছে তার দামের দর হাঁকিয়েছিলেন।
এতেই শেষ নয়—কারিশমার অভিযোগ, এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সঞ্জয় তার ওপর চরম মারধর চালান। এমনকি সঞ্জয়ের মা-ও নাকি তাকে নিয়মিত নির্যাতন করতেন। সেই সময় সঞ্জয় তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গেও সম্পর্ক রেখেছিলেন, যা জানার পর প্রতিবাদ করায় কারিশমার ওপর শারীরিক নির্যাতন বাড়ে।
গর্ভাবস্থার সময় ওজন বেড়ে যাওয়ায় কারিশমা একটি পোশাক পরতে না পারায় সঞ্জয় তার মাকে চড় মারতে বলেন—এমন অভিযোগও তুলেছেন অভিনেত্রী।
২০১৬ সালে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন সঞ্জয়-কারিশমা। বিচ্ছেদের পর কারিশমার নামে মুম্বাইয়ের খারে একটি বাড়ি লিখে দেন সঞ্জয়। সেইসঙ্গে তাদের দুই সন্তানের নামে ১৪ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত করেন, যার সুদ থেকে তারা প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা পান।
কারিশমার বাবা রণধীর কাপুরও সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘উনি তৃতীয় শ্রেণির মানুষ। কারিশমার সঙ্গে তার বিয়েতে আমি কখনোই রাজি ছিলাম না।’’
উল্লেখ্য, কারিশমার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সঞ্জয় তৃতীয়বার বিয়ে করেন প্রিয়া সচদেবকে। সেই সংসারে একটি ছেলে রয়েছে। তবে সন্তানদের প্রয়োজন হলে কারিশমার সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতেন সঞ্জয়।
১২ জুন আচমকা হার্ট অ্যাটাকে না ফেরার দেশে চলে যান ভারতের আলোচিত এই ব্যবসায়ী।
