রাষ্ট্রীয় প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগ্নেয়াস্ত্র জমা না দেওয়ায় দায়ের করা অস্ত্র মামলার সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) ঢাকার এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিজে অথবা অন্য কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে থানায় জমা দেওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য না থাকায় এবং অস্ত্রের লাইসেন্সে উল্লিখিত ঠিকানায় উপস্থিত হয়ে কাউকে না পাওয়ায় অস্ত্র আইনে করা মামলার গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, শুনানি উপলক্ষে দুপুর ১২টার দিকে হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট ও গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় তাকে এজলাসে হাজির করা হয়।
শুনানির সময় কামাল মজুমদার বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘মাননীয় আদালত এ বিষয়ে আমার কিছু বলার ছিল’।
তবে বিচারক তার কোনো কথা না শুনেই এজলাস ত্যাগ করেন। পরে তাকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ২৫ আগস্ট জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য প্রদত্ত সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়। স্থগিতকৃত লাইসেন্সভুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমাদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়। এ তারিখের মধ্যে কোন অস্ত্র ও গোলাবারুদ থানায় জমা না দেওয়া হলে তা অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য করে অস্ত্র আইনে মামলা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসামি তার দুটি আগ্নেয়াস্ত্র নিজে অথবা অন্য কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে রাজধানীর বনানী থানায় বা অন্য কোন থানায় জমা দিয়েছেন কি না সে বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে থানাকে অবহিতও করেননি। তার অস্ত্রের লাইসেন্সে উল্লিখিত ঠিকানায় উপস্থিত হয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় অস্ত্র আইনের ১৯ (১) ধারায় মামলা করেন বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. জানে আলম দুলাল।
শুনানি শেষে হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট ও গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিহিত কামাল মজুমদারকে এজলাস থেকে হাজতখানায় নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন কামাল আহমেদ মজুমদার। এর পর থেকে বিভিন্ন হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন তিনি।