ঢাকামঙ্গলবার , ৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উদ্যোক্তা
  6. কর্পোরেট
  7. কৃষি ও প্রকৃতি
  8. ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. পর্যটন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সংকটকালে স্বস্তি দিতে পারে বীমা

Sohel H
মার্চ ২, ২০২৩ ১:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশে মেটলাইফ ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বীমা সেবা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশে বীমা শিল্পের শুরু থেকেই কাজ করে চলেছে মেটলাইফ। ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানের রয়েছে প্রায় ১০ লাখ গ্রাহক। বর্তমানে মেটলাইফ বাংলাদেশের সিইও হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন আলা উদ্দিন আহমদ। দেশের বীমা শিল্পের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন সংবাদকর্মীর সঙ্গে।
বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বীমা নিয়ে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
সাম্প্রতিক একটি জরিপে আমরা দেখেছি যে সিংহভাগ মানুষের বীমা করার পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হলো ভবিষ্যতের অনাকাক্সিক্ষত কোনো পরিস্থিতিতে আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলায় তৈরি থাকা এবং বীমার উদ্দেশ্যও কিন্তু তাই। সুতরাং, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে যেখানে বেশ কিছু আর্থিক দুশ্চিন্তা যুক্ত হয়েছে, সেখানে বীমা কিছুটা স্বস্তি এনে দিতে পারে। কেননা শুধুমাত্র সঞ্চয়ের ওপর নির্ভরশীল থাকলে কোনো দুর্ঘটনায় বা পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তির অনুস্থিতিতে জমানো টাকার ওপর চাপ পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে হাসপাতালের খরচ, সন্তানের লেখাপড়া চালানো, অবসরে নিশ্চিত থাকা বা মৃত্যুজনিত কারণে আর্থিক দুরবস্থা থেকে সুরক্ষা নিতে বীমা সাহায্য করে।
বীমায় আস্থার সংকট নিরসনে আপনারা কীভাবে কাজ করছেন?
বাংলাদেশে মেটলাইফ ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বীমা সেবা দিয়ে আসছে। তার মানে বাংলাদেশে বীমা শিল্পের শুরু থেকেই কাজ করে চলেছে মেটলাইফ। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বীমা কোম্পানি হিসেবে আমরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি গ্রাহকদের আস্থা ও সন্তুষ্টির কারণেই। সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি যে গ্রাহদের সেবা দেওয়া এবং বীমার টাকা পাওয়ার প্রক্রিয়া যতটা দ্রুত ও স্বচ্ছ করা যাবে, বীমার ব্যাপারে তত বেশি মানুষের মনে আস্থা তৈরি হবে। মেটলাইফে আমরা আমাদের বীমা সেবাকে আরও উন্নত ও ডিজিটাল করেছি। এর ফলে গ্রাহকরা যেমন আমাদের অফিসে না এসেই বীমার প্রিমিয়াম দিতে পারছেন তেমনি অনলাইনেই বীমার দাবির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছেন। অনলাইনে বীমা দাবির করার ক্ষেত্রে গ্রাহকরা ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের বীমার টাকা পেয়ে যাচ্ছেন। আমি মনে করি বীমাকে সহজ এবং স্বচ্ছ করার মাধ্যমেই এই গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সেবায় আস্থা বৃদ্ধি সম্ভব হবে।
অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় অনেকে বীমাকে বেছে নেন না। এ ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য আপনারা কী করছেন?
এটা সত্যি যে, অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় এখনো অনেকেই বীমাকে বেছে নেন না এবং এর কারণ হিসেবে রয়েছে বীমা নিয়ে বিভিন্ন ভুল ধারণা এবং বীমার সুবিধা সম্পর্কে না জানা। তবে করোনা মহামারী চলাকালে বীমা না থাকার জন্য স্বাস্থ্যজনিত কারণে এবং হাসপাতালের খরচ মেটানোতে অনেকেরই আর্থিকভাবে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাই এ সময়ে বীমার আর্থিক সুবিধার ব্যাপারে জানার জন্য আগের থেকে অনেক বেশি মানুষ আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
আমরা যে ব্যাপারটাতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই তা হচ্ছে বীমার টাকা বা সুবিধা পাওয়ার ব্যাপারে স্বচ্ছতা তৈরি করা এবং বীমাকে আরও সহজবোধ্য করে সবার সামনে তুলে ধরা। সম্প্রতি আমরা যে অভিনব উদ্যোগটি গ্রহণ করেছি সেটি হলো বীমা নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম কমিকস বের করা। হ্যালো বীমা নামের এই কমিকসটিতে বীমা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর খুব সহজভাবে জানা যাবে।
একই সঙ্গে আমরা চালু করেছি হ্যালো বীমা হটলাইন যেখানে যে কেউ বিনামূল্যে কল করে বীমা নিয়ে যে কোনো প্রশ্নের উত্তর পাবেন।
বাংলাদেশে মেটলাইফের ১৭ হাজারেরও বেশি ফাইনান্সিয়াল অ্যাসোসিয়েট বা এজেন্ট কাজ করেন। তারাও প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন বীমার ব্যাপারে বাংলাদেশের সব জেলার মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য। আমরা দেখছি যে এ ধরনের উদ্যোগগুলো সুফল বয়ে আনছে। যারা নতুন করে বীমা পলিসি নিচ্ছেন, তারা ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করে বুঝেশুনে পলিসি করছেন এবং তাদের পলিসিগুলোও নিয়মিত প্রিমিয়াম দেওয়ার মাধ্যমে সচল রাখতে পারছেন।
কোন ধরনের বীমাতে আপনারা বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন?
আমরা বিশ্বাস করি বীমার মূল উদেশ্য মানুষকে আর্থিকভাবে নিরাপদ আর মানসিকভাবে নিশ্চিন্তে রাখা। আর একজন মানুষের সার্বিকভাবে ভালো থাকার জন্য প্রয়োজন সুস্থ থাকা। এই চিন্তাধারা থেকেই আমরা মনোযোগ দিচ্ছি এমন বীমার প্রতি যার মাধ্যমে গ্রাহকর স্বাস্থ্যজনিত অনিশ্চয়তা থেকে স্বস্তিতে থাকতে পারেন। যেমন, আমরা চালু করেছি ‘ক্রিটিক্যাল ইলনেস ইন্সুরেন্স প্রটেকশন প্ল্যান’ যেখানে গ্রাহকরা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, শ্বাসতন্ত্রের অসুখ, ক্যানসার, কিডনির অসুখ এবং ডেঙ্গুসহ ৫২টি জটিল রোগে ৮০ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুরক্ষা পাবেন। দেশে এরকম বীমা এটিই প্রথম। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, জটিল রোগের দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা ভালো ফলাফল বয়ে আনে, যদিও এক্ষেত্রে চিকিৎসা খরচের ব্যাপকতা ব্যক্তির সঞ্চয় এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ক্রিটিক্যাল ইলনেস ইন্সুরেন্স প্রটেকশন প্ল্যান বীমা গ্রহীতাকে চিকিৎসা খরচ বহন করতে এবং অসুস্থতার সঙ্গে সম্পর্কিত শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
মেটলাইফের বীমা দাবি পরিশোধের সময়সীমা এখন কেমন?
মেটলাইফ বীমা দাবি করার পুরো প্রক্রিয়াটিই নিয়ে এসেছে গ্রাহকের হাতের মুঠোয়। আমাদের গ্রাহকরা ঘরে বসেই এখন অনলাইনে খুব সহজে বীমা দাবির আবেদন করতে পারেন। প্রয়োজনীয় সব তথ্য এবং ডকুমেন্ট প্রাপ্তির ওপর ভিত্তি করে ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই বীমা দাবি পরিশোধ করার ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা।
বীমা সেবা ছাড়া আনুষঙ্গিক অন্য কোনো সেবা কি মেটলাইফ দিচ্ছে?
বিভিন্ন বীমা প্রোডাক্ট ছাড়াও বাংলাদেশের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে মেটলাইফ একটি নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক আনুষঙ্গিক সেবা এনেছে। মেটলাইফ ৩৬০ হেলথ নামে এই ফ্রি মোবাইল অ্যাপটি মেটলাইফ গ্রাহক আর এমনকি যারা গ্রাহক নন তারা সবাই ব্যবহার করতে পারেন। এই অ্যাপ ব্যবহার করে ডাক্তারের সঙ্গে ভিডিও পরামর্শ, ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া, অনালাইনে ওষুধ কেনা, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডিসকাউন্ট ছাড়াও স্বাস্থ্যরক্ষার বিভিন্ন টুলস পাওয়া যায়। একই সঙ্গে মেটলাইফ গ্রাহকরা তাদের পলিসি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য যেমন পলিসি স্ট্যাটাস, মেয়াদপূর্তি ও প্রিমিয়াম দেওয়ার তারিখ জানাসহ প্রিমিয়াম সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতে পারেন সরাসরি এই অ্যাপ থেকেই। মেটলাইফ ৩৬০ হেলথ ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং ২ লাখেরও বেশি ডাউনলোড হয়েছে।
বীমার টাকা ঠিকমতো পাওয়া যায় না এরকম অভিযোগ অনেক সময় শোনা যায়। গ্রাহকের বীমার টাকা ঠিকমতো পাওয়ার জন্য কী করা উচিত?
বীমার টাকা পরিশোধের ব্যাপারে মেটলাইফের প্রক্রিয়া সহজ আর স্বচ্ছ। ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে আমাদের বীমা দাবি নিষ্পত্তির পরিমাণ ১ হাজার ২৭৯ কোটি টাকা এবং বিগত পাঁচ বছরে এর পরিমাণ ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বীমা থেকে পরিপূর্ণ সুবিধা বা বীমার টাকা ঠিকমতো পাওয়ার জন্য আমরা যে পরামর্শ দিই তা হচ্ছে, নিজের প্রয়োজন বুঝে যথাযথ বীমা পলিসি নেওয়া এবং ঠিকমতো প্রিমিয়াম দিয়ে বীমা পলিসিটি সচল রাখা।
সামনের দিনগুলোর জন্য মেটলাইফের কী পরিকল্পনা আছে?
বাংলাদেশে বীমা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়ে আমরা আশাবাদী এবং এ জন্য যথাযথ প্রস্তুতিও নিয়ে চলছি আমরা। যেমন আমাদের সেবায় আরও উন্নত ডিজিটাল প্রযুক্তি আনছি আমরা। এর ফলে গ্রাহকদের সময় সাশ্রয় হবে এবং আমাদের সেবার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে।
গ্রাহকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নতুন নতুন বীমা প্রোডাক্ট আনার ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বিস্তৃত কভারেজ নিয়ে জটিল রোগের বীমা এবং হজ ও ওমরাহ বীমা চালু করেছি। আমাদের শিক্ষা বীমাতে আরও ফিচার যুক্ত করার জন্য কাজ করে চলেছি। ব্যাংকাস্যুরেন্স-এর মতো নতুন চ্যানেল যার মাধ্যমে ব্যাংক থেকেই গ্রাহকরা বীমা পলিসি নিতে পারবেন সেজন্য আমরা বিভিন্ন ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করছি। সর্বোপরি এ খাতে যাতে নতুনত্ব বজায় থাকে তার জন্য আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।
বেসরকারি বীমা কোম্পানির মাধ্যমে বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব কি?
বীমা কোম্পানিগুলো কিন্তু বীমার টাকা দেওয়ার মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তায় অবদান রেখে চলেছে। যেমন ২০২১ সালে মেটলাইফ বাংলাদেশে বীমাদাবি হিসেবে নিষ্পত্তি করেছে ১ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা যা ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বাজেটের প্রায় ২০ শতাংশ। সুতরাং, বোঝা যায় সরকারি এবং বেসরকারি বীমা কোম্পানির কত গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে একটি নিরাপদ সমাজ গঠনে। তাই যত বেশি মানুষ বীমার আওতায় আসবেন, সামাজিক নিরাপত্তা তত বেশি বিস্তৃত হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।