ঢাকাসোমবার , ১৪ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উদ্যোক্তা
  6. কর্পোরেট
  7. কৃষি ও প্রকৃতি
  8. ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. পর্যটন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

১৭ই মার্চ : জাতীয় শিশু দিবস

Sohel H
মার্চ ২০, ২০২৩ ১:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!


প্রতি বছরের মতো এ বছরও শিশুদের নিয়ে নানা আয়োজনে পালন করা হবে দিবসটি। জাতীয় শিশু দিবস প্রতি বছর পালিত হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে। শিশু দিবস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় পালিত হয়। শিশু দিবস পালনকারী প্রথম দেশ তুরস্ক। তুরস্কের অধিবাসীরা শিশু দিবস প্রথম পালন করেন ২৩শে এপ্রিল, ১৯২০ সালে।
সারা বিশ্বে ‘বিশ্ব শিশু দিবস’ পালন করা হয় ২০শে নভেম্বর এবং ‘আন্তর্জাতিক শিশু দিবস’ পালিত হয় ১ জুন। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৭ মার্চ পালিত হয় ‘জাতীয় শিশু দিবস’। ১৯৯৬ সালে প্রথম বাংলাদেশে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়।
শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর দরদ ছিল অপরিসীম। তাই তাঁর জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করা হয়। এদিনে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করার নতুন শপথ নিতে হবে সবার।
শেখ মুজিবুর রহমানের কর্ম ও রাজনৈতিক জীবন অসামান্য গৌরবের। তাঁর এ গৌরবের ইতিহাস থেকে প্রতিটি শিশুর মাঝে চারিত্রিক দৃঢ়তার ভিত্তি গড়ে উঠুক এটাই জাতীয় শিশু দিবসের মূল প্রতিপাদ্য।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস পালনে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। তাছাড়া দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতারসহ বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল প্রচার করে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।
সংবাপত্রগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও নিবন্ধ প্রকাশ করে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার। পাশাপাশি বিভিন্ন মসজিদে মোনাজাত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনাসভা আয়োজিত হয়।
সর্বোপরি আজকের শিশুরাই আগামীর সক্ষম নাগরিক। তাই শিশু-কিশোরদের চারিত্রিক দৃঢ়তার পাশাপাশি স্বাস্থ্য-পুষ্টির দিকে নজর দিয়ে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত হোক আমাদের এ বছরের শিশু দিবসের প্রত্যয়।
যেভাবে ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস: ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস। যদিও এই দিনটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন হিসেবেই বাঙালি জাতির কাছে বেশি সুপরিচিত। তবে জাতির পিতার জন্মদিনে শিশু দিবস নিয়েও রয়েছে নানা আয়োজন। শিশু দিবস পালনকারী প্রথম দেশ তুরস্ক। তুরস্কের অধিবাসীরা শিশু দিবস প্রথম পালন করেন ১৯২০ সালের ২৩ এপ্রিল। তবে শিশু দিবস বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময় পালিত হয়।
সারা বিশ্বে ‘বিশ্ব শিশু দিবস’ পালন করা হয় ২০ নভেম্বর এবং ‘আন্তর্জাতিক শিশু দিবস’ পালিত হয় ১ জুন। আন্তর্জাতিকভাবে অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ পালন করা হয়।
প্রতিবছরের মতো এবারও সারা দেশে শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে পালন করা হচ্ছে দিবসটি। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। দিনটিতে সাধারণ ছুটির পাশাপাশি এর তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতারসহ বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল প্রচার করছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। সংবাদপত্রগুলোতে প্রকাশ হচ্ছে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও নিবন্ধ। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হচ্ছে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বা বিশ্ব শিশু দিবস পালন হলেও জাতীয় শিশু দিবস ছিল না। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রীয় ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চকে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করে ওই সময়ের মন্ত্রিসভা। ১৯৯৭ সাল থেকেই দিবসটি পালন শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে এ দিনটিকে সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করা হয়।
অবশ্য ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হারানোর পর তৎকালীন বিএনপি সরকার শিশু দিবস পালন এবং সরকারি ছুটি বাতিল করে। ফলে ২০০২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দিবসটি পালিত হয়নি। এ সময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মদিন ১৯ জানুয়ারিকে বিএনপি সরকার শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন শুরু করে।
পরবর্তী সময়ে নবম জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়ে আবারও প্রতিবছর জাতীয় পর্যায়ে বড় আয়োজনের মাধ্যমেই এ দিবসকে পালন করে আসছে।
বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৭ মার্চ পালিত হয় ‘জাতীয় শিশু দিবস’। ১৯৯৬ সালে প্রথম বাংলাদেশে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়। আজকের শিশুই আগামী দিনের সক্ষম নাগরিক। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর দরদ ছিল অপরিসীম। শিশুদের খুবই ভালোবাসতেন তিনি। তার জন্মদিনে তিনি শিশুদের সঙ্গে কাটাতে পছন্দ করতেন। ওইদিন শিশুরা দলবেঁধে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে যেত। এসব সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে তার জন্মদিনটায় জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
তার জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করার শপথ নিতেই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বাংলাদেশে পালিত হয় জাতীয় শিশু দিবস।
শেখ মুজিবুর রহমানের কর্ম ও রাজনৈতিক জীবন অসামান্য গৌরবের। তার এ গৌরবের ইতিহাস থেকে প্রতিটি শিশুর মাঝে চারিত্রিক দৃঢ়তার ভিত্তি গড়ে উঠুক-এটাই জাতীয় শিশু দিবসের মূল প্রতিপাদ্য। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।