আন্তর্জাতিক ডেস্ক
এখন থেকে উপসাগরীয় সহযোগী কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) কাতার, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত- এ পাঁচ দেশের সব নাগরিক খুব সহজেই সৌদি আরবের ই-টুরিজম ভিসা পাবেন। এ ভিসা দিয়েই এসব দেশের প্রবাসীরা সৌদি আরবে ঘুরতে ও চাইলে পবিত্র ওমরাও পালন করতে পারবেন। তবে হজের মৌসুমে পর্যটন ভিসার মাধ্যমে ওমরা করা যাবে না। এসব তথ্য জানায় সৌদি আরবের পর্যটন মন্ত্রণালয়।
মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আগে জিজিসিভুক্ত দেশগুলোর নির্দিষ্ট কিছু পেশার প্রবাসীরা সৌদি আরবের টুরিজম বা পর্যটন ভিসা পেতেন। কিন্তু এখন থেকে এ ভিসার জন্য আবেদনকারীর পেশাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে না। এখন জিসিসিভুক্ত পাঁচটি দেশের যে কেউ নিজের ও পরিবারের সদস্যসহ গৃহকর্মীদের জন্য সৌদি আরবের পর্যটন ভিসার আবেদন করতে পারবেন।
অর্থোপার্জনের জন্য সৌদি আরব মূলত তেল রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল। তবে বর্তমানে দেশটি সে জায়গা থেকে সরে এসে পর্যটনসহ অন্যান্য খাতের উন্নয়নে জোর দিয়েছে। তাই অন্য দেশের মানুষ যাতে খুব সহজেই ঘুরতে বা ওমরাহ করতে সৌদিতে যেতে পারেন, সে লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে জিসিসিভুক্ত দেশগুলোকে ই-টুরিজম ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি সরকার।
জানা যায়, ‘ভিজিট সৌদি’ওয়েবসাইটে অথবা দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে খুব সহজেই পর্যটন ভিসার আবেদন করতে পারবেন ওই পাঁচ দেশের নাগরিকরা। তবে এর জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। সেগুলো হলো, আবেদনকারীদের কমপক্ষে তিন মাসের থাকার অনুমোদন ও পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হতে অন্তত ছয় মাস বাকি থাকতে হবে।
এর আগে সৌদি আরব সরকার ওমরা ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৯০ দিন করে। তাছাড়া, ওমরাহ পালনের জন্য আকাশ, স্থল ও সমুদ্র যেকোনো পথেই সৌদিতে প্রবেশ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি, পর্যটকরা দেশটির যেকোনো বিমানবন্দর থেকে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবেন বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে। গত সপ্তাহে, একজন সৌদি কর্মকর্তা বলেছিলেন, আসন্ন রমজান মাসের শেষ নাগাদ ওমরা যাত্রীর সংখ্যা ৯০ লাখ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সাধারণত পবিত্র রমজানে বিপুলসংখ্যক বিদেশি ওমরা যাত্রী সৌদি আরব ভ্রমণ করেন।