ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে। পাশাপাশি আমদানি পর্যায়ে উৎপাদনকারীদের জন্য আগাম কর ধাপে ধাপে বিলুপ্তি ও বাণিজ্যিক আমদানিকারকদের জন্য আগাম কর হ্রাসের দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় এসব প্রস্তাব তুলে ধরে সংগঠনটি।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, “করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ করা উচিত এবং ব্যক্তির সর্বোচ্চ কর হার কমানো দরকার। করজাল বাড়াতে এনবিআরের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”
এছাড়াও ব্যবসায়ীদের জন্য অটোমেটেড কর্পোরেট কর রিটার্ন চালু, বাণিজ্যিক আমদানিতে আগাম কর কমানো, ভ্যাটের একক হার নির্ধারণ, এবং ভ্যাট ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করতে মোবাইল অ্যাপ চালুর প্রস্তাবও দিয়েছে সংগঠনটি।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, “ব্যক্তিগত করের হার আরও বাড়ানো উচিত, কারণ উন্নত দেশগুলোতে ব্যক্তিগত কর বেশি থাকায় বৈষম্য কম হয়। আমাদেরও সেবা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে মানুষ হাতে কম টাকা রাখলেও সেবা পায়।”
এছাড়া, কৃষিজ পণ্য, কীটনাশক, চিংড়ি আমদানি, রঙ ও লেদারগুডস উৎপাদনে কর হ্রাসসহ বিভিন্ন দাবি জানায় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন। এনবিআর তাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।