ঢাকা, ২৮ এপ্রিল — বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)। রোববার (২৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ প্রতিশ্রুতি দেন সিপিসির আন্তর্জাতিক বিভাগের দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক পেং শিউবিন।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাক্ষাতে পেং শিউবিন বলেন, দুই দেশের রাজনৈতিক দলের মধ্যে সুদৃঢ় যোগাযোগ বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। তিনি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, শিক্ষাবিদ এবং রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, চীন অবকাঠামো উন্নয়ন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদার, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ও জনগণের মধ্যে বিনিময় বাড়াতে কাজ করবে। পাশাপাশি বাংলাদেশকে ‘নিকটতম প্রতিবেশী ও উন্নয়ন সহযোগী’ হিসেবে দৃঢ়ভাবে সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন, যা চীনের ‘প্রতিবেশী কূটনীতি’র অংশ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সাক্ষাতে পেং শিউবিন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক চীন সফর এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাঁর ফলপ্রসূ আলোচনার বিষয়েও আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ চীনের একটি বিশ্বস্ত বন্ধু এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন ‘এক চীন নীতি’র প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন এবং উচ্চ পর্যায়ের সফরের মাধ্যমে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অন্যান্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বাংলাদেশের রোগীদের জন্য কুনমিংয়ে বিশেষ চিকিৎসা সুবিধা দেওয়ায় চীনা সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং ভিসা প্রক্রিয়ার সহজীকরণ ও সাশ্রয়ী বিমান ভাড়া বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বৃত্তি সংখ্যা বৃদ্ধির অনুরোধ জানান।
আসন্ন সফরে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১০০-রও বেশি সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসবে বলে জানানো হয়, যা দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের দৃঢ়তার প্রতিফলন বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র সচিব।
সাক্ষাতে রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা হয়।
সূত্র: বাসস