চার মাস লন্ডনে অবস্থান শেষে সোমবার (৫ মে) দেশে ফেরার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা পরিবর্তন করে একদিন পরে, মঙ্গলবার (৬ মে) বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাকে দেশে ফেরাতে কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, সঙ্গে থাকছে একটি মেডিকেল টিমও।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০২ ফ্লাইটে খালেদা জিয়ার ঢাকা ফেরার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে শেষ মুহূর্তে ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বিএনপি। জানা গেছে, ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। ফ্লাইট পার্সার আল কুবরুন নাহার কসমিক ও মো. কামরুল ইসলাম বিপনের বিরুদ্ধে সরকারঘেঁষা রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার অভিযোগ ওঠে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কসমিক অতীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার ফ্লাইট পরিচালনা করতেন এবং বারবার কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন। অপরদিকে, কামরুল ইসলাম বিভিন্ন আওয়ামী লীগপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
এসব তথ্য প্রকাশের পর বিএনপি নেতারা বিমানে খালেদা জিয়ার ফেরা নিয়ে শঙ্কায় পড়ে। ভারত-পাকিস্তানের আকাশসীমা নিয়ে সাম্প্রতিক জটিলতাও বিবেচনায় নেয়া হয়। বিষয়টি কাতার সরকারের দৃষ্টিগোচর হলে দ্রুত তারা বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে সোমবারের বদলে মঙ্গলবার সকালে খালেদা জিয়ার স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নেয় বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার রাতে গুলশানে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়া দেশে ফিরছেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকছেন দুই পুত্রবধূ—তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।
চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করবে। দোহায় যাত্রাবিরতির পর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।