সিলেট জেলা ভ্রমণের জন্য একটি অসাধারণ গন্তব্য। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাহাড়, ঝরনা, চা বাগান ও হাওর পর্যটকদের মন জয় করে। জাফলং, রাতারগুল, লালাখাল, মাধবকুণ্ড ও বিছনাকান্দি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনন্য নিদর্শন। শাহজালাল ও শাহ পরানের মাজারসহ ধর্মীয় স্থানগুলো আধ্যাত্মিক পরিবেশ তৈরি করে। চা-বাগানের সবুজ মাঠ ও পাহাড়ি রাস্তা ভ্রমণে রোমাঞ্চ যোগ করে। এখানকার আতিথেয়তা ও সিলেটি সংস্কৃতি পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। সিলেট শহরে থাকা-খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা থাকায় ভ্রমণ সহজ হয়। সব মিলিয়ে সিলেট ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য এক দারুণ গন্তব্য। আসুন দেখে নেই সিলেট জেলার কিছু দর্শনীয় স্থান —
▶ জাফলং: ভারতের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা, নদী, পাহাড় ও পাথর উত্তোলনের জন্য বিখ্যাত।
▶ বিশ্বনাথের রামকৃষ্ণ আশ্রম: ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক স্থান, শান্ত পরিবেশ।
▶ ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর: পরিষ্কার পানির ঝরনা, সাদা পাথর ও নীল জলরাশি মিলিয়ে স্বর্গীয় দৃশ্য।

▶ লালাখাল: সিলেটের সারি নদীর অংশ; নীলাভ পানির জন্য জনপ্রিয়।
▶ পান্তুমাই জলপ্রপাত: ভারতের সীমান্তঘেঁষা গ্রামে অবস্থিত; প্রকৃতির অনন্য সৃষ্টি।
▶ বিছনাকান্দি: পানি, পাথর আর পাহাড়ের একত্র মেলবন্ধন। বর্ষাকালে সবচেয়ে মনোরম।
▶ হাকালুকি হাওর: বাংলাদেশের বৃহত্তম হাওর; পাখি ও জীববৈচিত্র্যে ভরপুর।
▶ তামাবিল: সীমান্তবর্তী এলাকা, পাহাড়ি দৃশ্য এবং পাথরের নদী।

▶ মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত: দেশের অন্যতম বড় জলপ্রপাত, চা-বাগান ও পাহাড়বেষ্টিত।
▶ হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার: সিলেট শহরের কেন্দ্রস্থলে, ইসলামী ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।
▶ হযরত শাহ পরান (রহ.) এর মাজার: শাহজালাল (রহ.)-এর ভ্রাতুষ্পুত্র, পাহাড়চূড়ায় অবস্থান।
▶ গোলাপগঞ্জের চন্দ্রনাথ পাহাড়: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান, দর্শনীয় প্রাকৃতিক পরিবেশ।
▶ ফাতেমা রাজিয়া মাজার: পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত, ধর্মীয় পর্যটন স্থান।

▶ আলী আমজদের ঘড়ি: সিলেট শহরের প্রাচীনতম ঘড়ি, ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে।
▶ জৈন্তাপুর রাজবাড়ি: জৈন্তা রাজ্যের স্মৃতি বহনকারী প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান।
▶ শ্রীহট্ট মিউজিয়াম: সিলেটের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষিত।
▶ ইতিমাদ খান মসজিদ: মুঘল আমলের ঐতিহাসিক মসজিদ, কারুকাজে সমৃদ্ধ।
▶ চরারবন্দর দরগাহ: আধ্যাত্মিক স্থান ও ধর্মীয় কেন্দ্র।

▶ হামহাম জলপ্রপাত (লাউয়াছড়া সংলগ্ন): গহীন অরণ্যের মাঝে গোপন জলপ্রপাত, অ্যাডভেঞ্চারের জন্য আদর্শ।
▶ কালা পাহাড় ও মাজার: ধর্মীয় ইতিহাস ও প্রকৃতির মিশেল।
▶ মালনীছড়া চা বাগান: উপমহাদেশের প্রাচীনতম চা বাগান, সিলেট শহরের নিকটে।
▶ লাক্কাতুরা চা বাগান: সিলেট শহরের একদম কাছেই, সবুজে মোড়া প্রাকৃতিক পরিবেশ।

▶ জিনেরগাছ চা বাগান (ফেঞ্চুগঞ্জ): অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও শ্রমজীবী সংস্কৃতির মিলনস্থল।
▶ ভোলাগঞ্জের পাহাড়ি ট্রেই: হাইকিং ও ট্রেকিংয়ের জন্য আদর্শ।
▶ নাজিরের বাজার চা বাগান: দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত, নিরিবিলি পরিবেশ।
▶ টেকেরঘাট: চুনাপাথরের খনি ও পাহাড়ঘেরা অঞ্চল, প্রাকৃতিক দৃশ্য মনোমুগ্ধকর।
▶ হাইল হাওর: বিপুল পাখির আবাস, বিশেষ করে শীতকালে।
▶ সাতছড়ি উদ্যান (আংশিক সিলেটে): গহীন বনের মাঝে জীববৈচিত্র্যপূর্ণ এলাকা।

▶ রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট: দেশের একমাত্র মিঠা পানির বন, বর্ষাকালে নৌকাভ্রমণের জন্য জনপ্রিয়।
▶ বড় হাওর (সুনামগঞ্জ সীমানা সংলগ্ন): মাছ ও পাখির আধার; কৃষি নির্ভর জনজীবনের প্রতিচ্ছবি।
▶ সোনারগাঁও গ্রাম (সিলেট সদর): কৃষ্টিবান সিলেটি সংস্কৃতির চিত্র।
▶ পাখির দ্বীপ (হাকালুকি হাওরে): দেশি-বিদেশি পাখির অভয়ারণ্য।

▶ গোয়াইনঘাটের মাছের বাজার: স্থানীয় জীবনধারা পর্যবেক্ষণের জায়গা।
▶ আলীরগাঁও পাহাড় ও গ্রাম: গ্রামের ছায়াঘেরা পরিবেশ ও পাহাড়ি সৌন্দর্য।
▶ চিলাউড়া-হলদিপুর রেলস্টেশন: সিলেটের পুরনো স্থাপত্য নিদর্শন।
▶ ড্রিমল্যান্ড পার্ক (সিলেট শহর): শিশুদের জন্য আকর্ষণীয় থিম পার্ক।

▶ মেরিনা পার্ক: শহরের মাঝে আধুনিক পার্ক, পরিবারসহ সময় কাটানোর উপযুক্ত স্থান।
▶ কাজীটুলা বিনোদন কেন্দ্র: স্থানীয় পর্যটকদের জন্য পারিবারিক সময়ের জায়গা।
▶ কাজলশাহ পার্ক: প্রাকৃতিক ছায়াঘেরা পরিবেশে হাঁটার সুযোগ।
▶ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা: সংস্কৃতি ও ইতিহাস মিলিয়ে স্থানীয়দের মিলনমেলা।