নারী বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দলে ছিলেন না, রুমানা আহমেদকে রাখা হয়নি শেষ কয়েকটি সিরিজেও। ২০২৩ সালে ফিটনেস ইস্যুতে বাদ পড়েছিলেন। এরপর থেকে জাতীয় দলে আসা-যাওয়ার মাঝে টাইগ্রেস অলরাউন্ডার। রুমানার দাবি, তাকে নির্দিষ্ট বার্তা দেওয়া হচ্ছে না। তার ক্যারিয়ার ধংস করা হচ্ছে শুধুই সিনিয়র বলে।
সর্বপরি বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে বিচার চেয়েছেন বাংলাদেশ নারী দলের এই ক্রিকেটার। মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে এমন দাবি করেন রুমানা।
ফেসবুকে টাইগ্রেস অলরাউন্ডার লেখেন, ‘বিসিবির সম্মানিত অভিভাবকগণ। আমি খেলি কিংবা না খেলি, এই অনৈতিকতা ও অরাজকতা চলতে পারে না। দয়া করে নির্দিষ্ট করে কিছু বলুন। কোনো কারণ ছাড়াই তিন বছর (না খেলানো) মজার কিছু নয়! আমার রেকর্ড বলছে, আমি বাজে ক্রিকেট খেলি না এবং অনৈতিক কিছুও করিনি। সিনিয়রটি কখনও অভিশাপ হতে পারে না। আমার উজ্জ্বল ক্যারিয়ার ধংসের পেছনে যারা জড়িয়ে তাদের বিচার করতেই হবে।’
সেই সময় তিনি ‘নো মোর ক্রিকেট…’ লিখে স্ট্যাটাসও দিয়েছিলেন। সাংবাদিকদের তখন বলেছিলেন, ‘‘দ্রুতই সব জানবেন। আনুষ্ঠানিকভাবে সব জানাব।’
ফিটনেস ইস্যুতে ২০২৩ সালে শ্রীলংকা সফরের দল থেকে বাদ পড়েন রুমানা। যার ব্যাখ্যায় বিসিবি বিশ্রামের কথা বললেও তা মানতে নারাজ ছিলেন এই অলরাউন্ডার। ওই ঘটনা নিয়ে বিসিবি তাকে তলবও করেছিল। সেই সময় তিনি ‘নো মোর ক্রিকেট…’ লিখে স্ট্যাটাসও দিয়েছিলেন। সাংবাদিকদের তখন বলেছিলেন, ‘‘দ্রুতই সব জানবেন। আনুষ্ঠানিকভাবে সব জানাব।’
এরপর অবশ্য বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছেন রুমানা। ২০১১ সাল থেকে ক্রিকেট খেলা রুমানা ৫০টি ওয়ানডে খেলেছেন, টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৮৭টি। যথাক্রমে রান করেছেন ৯৬৩ ও ৮৬৬। বল হাতে ৫০ ম্যাচে ৫০ উইকেট ও ৮৭ টি-টোয়েন্টিতে ৭৫ উইকেট নেন রুমানা। এশিয়া কাপে টাইগ্রেসদের প্রথম শিরোপা জয়ে তার অবদান অনেক।