চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, মানুষ মারা গেলেও তার আদর্শগত কাজ কখনো মারা যায় না। একজন আদর্শবাদী মানুষ মৃত্যুর পরেও বেঁচে থাকেন তার কাজ ও সততার প্রতিচ্ছবিতে। প্রয়াত মো. নাসিরুল আলম ছিলেন একজন পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবান ও নীতিবান সাংবাদিক। আজকের এই শোকসভায় সাংবাদিকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিই প্রমাণ করে, তিনি কেবল একজন সহকর্মী ছিলেন না, ছিলেন একজন আদর্শের বাতিঘর।
বুধবার (২১ মে) সন্ধ্যায় নগরীর নুর আহমদ সড়কে টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (টিসিজেএ) চট্টগ্রামের মিলনায়তনে সংগঠনের প্রয়াত সহসভাপতি মো. নাসিরুল আলম স্মরণে আয়োজিত শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
টিসিজেএ সভাপতি শফিক আহমেদ সাজীবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যমুনা টেলিভিশনের চট্টগ্রাম অফিসের ডেপুটি ইনচার্জ তারেক মাহমুদ এবং দিগন্ত টেলিভিশনের সাবেক চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান গোলাম মাওলা মুরাদ। স্বাগত বক্তব্য দেন টিসিজেএ সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল আলম চৌধুরী মামুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর।
আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন এখন টেলিভিশনের ভিডিও জার্নালিস্ট মো. নবাব মিয়া, টিসিজেএ নির্বাহী সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইমুন আল মুরাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপংকর দাশ বাবু, মো. ফরিদ উদ্দিন, সহসভাপতি মো. আলী আকবর এবং সাবেক সভাপতি এনামুল হক।
আলোচকরা বলেন, প্রয়াত নাসিরুল আলম তার পেশাগত জীবনে সততা, নিরপেক্ষতা এবং সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন ক্যামেরার পেছনের নীরব নায়ক। তিনি নিরলসভাবে সংবাদ সংগ্রহ করে গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছিলেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন টিসিজেএ সাংগঠনিক সম্পাদক বাসু দেব, দপ্তর সম্পাদক মো. পারভেজ রহমান, রবিউল হোসেন টিপুসহ সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতারা।
শোকসভা শেষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রয়াত সাংবাদিক মো. নাসিরুল আলমের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় চট্টগ্রাম জোনের মসজিদের ইমাম ক্বারি মাওলানা মো. মুহিব্বুল্লাহ।