‘খামারি মোবাইল অ্যাপ’ এবং ‘ক্রপ জোনিং সিস্টেম’ হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তিগুলো কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে একদিকে যেমন উৎপাদন বহু গুণ বাড়বে, অন্যদিকে দেশের খাদ্য নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।
রবিবার (১ জুন) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) যশোর অঞ্চলের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।
কর্মশালায় বলা হয়, ‘ক্রপ জোনিং সিস্টেম’ হচ্ছে একটি আধুনিক কৃষি পরিকল্পনা পদ্ধতি। যার মাধ্যমে মাটি, আবহাওয়া, পানির প্রাপ্যতা এবং স্থানীয় কৃষি বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে কোন অঞ্চল কোন ফসল চাষে উপযুক্ত, তা নির্ধারণ করা যায়। এতে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হয় এবং কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হন।
অন্যদিকে ‘খামারি মোবাইল অ্যাপ’ একটি স্মার্টফোনভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন, যা কৃষকদের সরাসরি কৃষি তথ্য, রোগবালাই ব্যবস্থাপনা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, সারের সুপারিশ, ফসল বিমা ও নিকটবর্তী বাজারমূল্যের তথ্য দেয়। এ অ্যাপ কৃষকদের সিদ্ধান্ত নিতে বাস্তব সময়ের সহায়তা প্রদান করে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কারণেই কৃষি আজ আধুনিকতার ছোঁয়া পাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সব সময় কৃষকদের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) আয়োজিত এই কর্মশালায় ডিএই যশোর অঞ্চলের কর্মকর্তাদের খামারি মোবাইল অ্যাপ ও ক্রপ জোনিং সিস্টেমবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ক্রপ জোনিং প্রকল্প, বিএআরসির সদস্য পরিচালক (শস্য) ও কো-অর্ডিনেটর ড. আবদুছ ছালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিএই খামারবাড়ি ঢাকার অতিরিক্ত পরিচালক ড. জামাল উদ্দীন।
কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্রপ জোনিং প্রকল্পের ক্রপ এক্সপার্ট ড. আজিজ জিলানী চৌধুরী। আর ক্রপ জোনিং সিস্টেমের ওপর বিস্তারিত উপস্থাপনা করেন ক্রপ জোনিং প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার আবিদ হোসেন চৌধুরী। এ ছাড়া খামারি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারের বিস্তারিত তুলে ধরেন ক্রপ জোনিং প্রকল্প পরিচালক (কম্পিউটার ও জিআইএস ইউনিট) হাসান হামিদুর রহমান।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশের কৃষিতে টেকসই ও জলবায়ু সহনশীল চাষাবাদ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।