ঢাকাশুক্রবার , ২০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উদ্যোক্তা
  6. কর্পোরেট
  7. কৃষি ও প্রকৃতি
  8. ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরির খবর
  11. জাতীয়
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. তারুণ্য
  14. ধর্ম
  15. পর্যটন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিনিয়োগানুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে

Md Abu Bakar Siddique
জুন ৩, ২০২৫ ৯:০১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রোববার রাজধানীর মাল্টিপারপাস হলে চীনা বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আয়োজিত দিনব্যাপী যে চীন-বাংলাদেশ ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্মেলন হয়, তার গুরুত্বকে খাটো করে দেখা যায় না। বাংলাদেশের কোনো বাণিজ্যিক সম্মেলনে ১০০ কোম্পানির ২৫০ জন বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীর অংশগ্রহণ এই প্রথম।

সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাওয়ে যে উদ্দীপনামূলক বক্তব্য দেন, তা নিশ্চয়ই দুই দেশের ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করবে। সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশকে ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে গড়ে তুলতে চীনা বিনিয়োগকারীদের এখানে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, জ্বালানি, কৃষি, পাট, তথ্যপ্রযুক্তিশিল্প অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। যেকোনো দেশের ব্যবসায়ীরা এসব খাতে বিনিয়োগ করলে যেমন লাভবান হবেন, তেমনি বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বাংলাদেশের মোট জনশক্তির অর্ধেকের বয়স ৩০ বছরের নিচে। চীনা বিনিয়োগকারীরা এঁদের কাজে লাগাতে পারেন।

সফররত চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও কৃষি, পাট, সামুদ্রিক মাছ ধরাসহ গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলেন, তাঁর দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও ব্যবসায় সহযোগিতা বাড়াতে প্রস্তুত। ওই দিন সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী এই বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে চীনা কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী।

বাংলাদেশের ব্যবসা–বাণিজ্যের একটি বিষয় চীনা বাণিজ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি এড়ায়নি। পৃথিবীর অনেক বড় বড় শহরে যেখানে সন্ধ্যার পর শহর নীরব হয়ে যায়, সেখানে ঢাকা শহরে মধ্যরাত পর্যন্ত কর্মচাঞ্চল্য থাকে। তিনি বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। তবে যেকোনো উন্নয়নকামী দেশের মতো বাংলাদেশ কেবল ভোক্তাবাজার হতে চায় না, উৎপাদনেও এগিয়ে থাকতে চায়। সে জন্য এখানে আরও বিদেশি বিনিয়োগ আনতে হবে।

চীনা মন্ত্রী চাষের জমি উন্নয়ন, পানি সংরক্ষণ ও আধুনিক চারা রোপণ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গবেষণায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার প্রযুক্তিতে চীন যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে, তা থেকেও আমরা উপকৃত হতে পারি। ব্যবসা–বাণিজ্যের উন্নতির জন্য গবেষণা অপরিহার্য, যদিও বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের এ বিষয়ে আগ্রহ কম।

চীন থেকে আমরা যেই পরিমাণ পণ্য আমদানি করি, তার তুলনায় সেখানে রপ্তানি হয় খুবই কম। বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বাড়লে বহির্বিশ্বে আমাদের রপ্তানিও অনেক বাড়বে। চীন প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ কোটি মার্কিন ডলারের পাট আমদানি করে, যা বাংলাদেশের মোট পাট রপ্তানির প্রায় ১০ শতাংশ। গবেষণা ও পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে পারলে এর পরিমাণ আরও বাড়ানো সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

বিনিয়োগের খরাকালে চীনা ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে এসে সম্মেলন করা তাঁদের আগ্রহেরই বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু চীনা বিনিয়োগকারীদের আগ্রহকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য যে অবকাঠামোগত সুবিধা ও নীতি পরিকল্পনা প্রয়োজন, সেটা কতটা বহাল আছে, তা–ও খতিয়ে দেখা জরুরি। এর আগেও অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারীকে এভাবে সম্মেলনে ডেকে আনা হয়েছে। দেশের বাইরে গিয়েও সরকারপ্রধানেরা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে বিদেশি বিনিয়োগ তেমন বাড়েনি।

বিনিয়োগ তখনই বাড়বে, যখন আমরা একটা বিনিয়োগানুকূল পরিবেশ তৈরি করতে পারব। সে ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত সুবিধার পাশাপাশি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন জরুরি বলে মনে করি। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান সমস্যা

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।