অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশন এবং জাতিসংঘ আজ ঢাকায় একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার ফলে অস্ট্রেলিয়া আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য ইউএনডিপি, ইউএন উইমেন এবং ইউনেস্কোর একটি যৌথ উদ্যোগ – ব্যালট প্রকল্পের প্রথম অর্থায়ন অংশীদার হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে (বিইসি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার, এইচ.ই. সুসান রাইল এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি, স্টেফান লিলার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ইউনেস্কোর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডঃ সুসান ভাইজ এবং ইউএন উইমেন ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ নবনীতা সিনহাও উপস্থিত ছিলেন।
ব্যালট প্রকল্পের লক্ষ্য হল বিইসির প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা জোরদার করা, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা এবং বিতরণকে সমর্থন করা এবং সচেতন নাগরিক সম্পৃক্ততা প্রচার করা। এই উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে নারী, যুব, সংখ্যালঘু, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, বয়স্ক নাগরিক এবং প্রথমবারের মতো ভোটারদের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে লক্ষ্যবস্তু ভোটার শিক্ষা প্রচারণা।
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড গুগল নিউজ আপডেট রাখুন, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের গুগল নিউজ চ্যানেল অনুসরণ করুন
এই প্রকল্পের একটি মূল উপাদান হল শুধুমাত্র ভোটার হিসেবেই নয় বরং প্রার্থী, পোলিং কর্মকর্তা, পর্যবেক্ষক এবং দলীয় এজেন্ট হিসেবেও নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা। এতে একটি নিবেদিতপ্রাণ মিডিয়া এবং নির্বাচনী উপাদানও রয়েছে, যা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনকালীন ভুল তথ্য এবং বিভ্রান্তি মোকাবেলায় প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, “ব্যালট প্রকল্প আমাদের সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে, আস্থা তৈরি করতে এবং সকল নাগরিকের বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন প্রদানে সহায়তা করবে।”
মহামান্য সুসান রাইল এই প্রকল্পে অস্ট্রেলিয়া ২ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার অবদান রাখার ঘোষণা দিয়ে বলেন, “অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে সমর্থন করে। এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগে আমরা জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আনন্দিত।”
স্টেফান লিলার উল্লেখ করেছেন, “ব্যালট প্রকল্প বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে সমর্থন করার জন্য জাতিসংঘের দৃঢ় এবং চলমান প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে। প্রথম অংশীদার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব একটি বিশ্বাসযোগ্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
অস্ট্রেলিয়ার অবদান BEC-এর প্রাতিষ্ঠানিক, প্রযুক্তিগত এবং পরিচালনাগত শক্তিশালীকরণকে সমর্থন করে, যা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্তিশালীকরণ এবং ন্যায়সঙ্গত শাসনব্যবস্থা প্রচারের বৃহত্তর উন্নয়ন সহযোগিতা লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
